হাইকমান্ড চাইলে মধ্যপ্রদেশে মুখ্যমন্ত্রী হতে প্রস্তুত জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া
ভোট পর্বের শুরু থেকে মঙ্গলবার ফল প্রকাশ পর্যন্ত, কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দু'টি নাম বারবার ঘুরে ফিরে এসেছে। একজন গোয়ালিয়র রাজপরিবারের সদস্য জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। আর দ্বিতীয় জন মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস সভাপতি কমল নাথ।
নিজস্ব প্রতিবেদন: মঙ্গলবার বিকেল থেকে বুধবার সকাল। মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস সংখ্যাগরিষ্ঠতা জোগাড় করতে পারবে কি না, তা নিয়েই দোলাচাল তৈরি হয়েছিল। সকাল সাড়ে দশটায় মায়াবতী সমর্থনের কথা বলতেই সেই দোলাচল কেটে যায়। কিন্তু শুরু হয়ে যায় অন্য টানাপোড়েন।
প্রশ্ন উঠতে শুরু করে কে হবেন কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী। ভোট পর্বের শুরু থেকে মঙ্গলবার ফল প্রকাশ পর্যন্ত, কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দু'টি নাম বারবার ঘুরে ফিরে এসেছে। একজন গোয়ালিয়র রাজপরিবারের সদস্য জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। আর দ্বিতীয় জন মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস সভাপতি কমল নাথ।
আরও পড়ুন: কমল নাথ, গেহলত, বাঘেল-ই তিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী!
মঙ্গলবার রাতেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে রাজ্যপালের কাছে দেখা করার সময় চান কমল নাথ। বুধবার সকালে দেখাও করেন। তখন থেকেই কমল নাথের পাল্লা ভারী বলেই মনে হতে থাকে। যদিও সেই দলে ছিলেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া প্রশ্ন উঠতে থাকে, তাহলে কি মুখ্যমন্ত্রিত্বের দৌড় থেকে ছিটকে গেলেন জ্যোতিরাদিত্য?
সেই প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় কংগ্রেসের এই নেতাকেও। তিনি সরাসরি জানিয়েদেন, এই পদের দায়িত্ব সামলাতে তিনি প্রস্তুত। কিন্তু সঙ্গে একটি যদি 'যোগ' করেন তিনি। জানিয়ে দেন, দল চাইলে তিনি প্রস্তুত। তাঁর মতে, ''মুখ্যমন্ত্রী দায়িত্ব পালন করা একটা সম্মানের ব্যাপার।"
আরও পড়ুন: রাজস্থানে মুখ্যমন্ত্রী কে? ঠিক করার ভার রাহুল গান্ধীর ওপরেই ছাড়লেন নেতারা
তিনি সিদ্ধান্তের ভার ছেড়ে দিয়েছেন হাইকমান্ডের উপর। তিনি বলেন, ''আমি একজন জনগণের সেবক। সেটা যেমনই হোক। গোটা মধ্যপ্রদেশের দায়িত্ব হতে পারে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হতে পারে। দলের মুখ্যসচেতক হতে পারে। হাইকমান্ড যা দায়িত্ব দেবে, তাই পালন করব।''