দায়িত্ব নিয়েই নয়া গভর্নর জানালেন কোন পথে চলবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক
উল্লেখ্য, সোমবার রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর পদ থেকে ইস্তফা দেন উর্জিত প্যাটেল। ২৪ ঘণ্টা না কাটতেই ওই পদে কেন্দ্রের প্রথম সারির আমলা শক্তিকান্তকে ঘোষণা করা হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদন: রিজার্ভ ব্যাঙ্কের স্বশাসিত ক্ষমতা অটুট রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়ে গভর্নরের দায়িত্ব গ্রহণ করলেন শক্তিকান্ত দাস। গতকালই জানা যায়, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নরের পদে বসছেন ১৯৮০ ব্যাচের আইএএস শক্তিকান্ত দাস। ক্ষমতা পেয়ে তাঁর স্পষ্ট বার্তা, যে সব ইস্যু নিয়ে কেন্দ্র-রিজার্ভ ব্যাঙ্কের টানাপোড়েন চলছে, সে পথে তিনি হাঁটবেন না। তবে, আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ২৫তম গভর্নর।
আরও পড়ুন- ‘হারের দায় সম্পূর্ণ আমার, মানুষ চৌকিদারি করার ভার দিয়েছে’, দলের বিপর্যয়ে সাফাই শিবরাজের
উল্লেখ্য, সোমবার রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর পদ থেকে ইস্তফা দেন উর্জিত প্যাটেল। ২৪ ঘণ্টা না কাটতেই ওই পদে কেন্দ্রের প্রথম সারির আমলা শক্তিকান্তকে ঘোষণা করা হয়। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মতো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাথায় একজন আমলাকে বসানোয় রীতিমতো প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছে, যেখানে পূর্বসূরী গভর্নরদের অর্থনীতির পাণ্ডিত্য নিয়ে প্রশ্ন ওঠে না, সেই জায়গা ইতিহাসের স্নাতক আমলা কীভাবে স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানকে চালাবেন! বিতর্ক আরও দাঁনা বাঁধছে, কারণ এই মুহূর্তে নানা আর্থিক ইস্যু নিয়ে জর্জরিত দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ক। সমস্যা সমাধানে অপারগ হয়েই ইস্তফা উর্জিত প্যাটেলের বলে মনে করা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে নোটবন্দির মতো সমস্যার অভিজ্ঞতা নিয়ে কতটা মোকাবিলা করতে সক্ষম হবেন শক্তিকান্ত, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। বলে রাখা প্রয়োজন, পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের অন্যতম সদস্য ছিলেন শক্তিকান্ত।
আরও পড়ুন- চিদম্বরমের দুর্নীতিকে সাহায্য করেছেন নয়া আরবিআই গভর্নর! স্বামীর বিস্ফোরণে বিপাকে মোদী
এ দিন গভর্নর শক্তিকান্ত দাস বলেন, প্রতিষ্ঠান হিসাবে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের স্বাধীনতা থাকা ভীষণভাবে দরকার। আগামী দিনে প্রতিষ্ঠানের স্বাধীনতা অটুট থাকবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। সম্প্রতি রিজার্ভ ব্যাঙ্কের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে বলে প্রকাশ্যে অভিযোগ করেন ডেপুটি গভর্নর বিরল আচার্য। বিরলের এই মন্তব্যে ব্যাপক জলঘোলা তৈরি হয় বিভিন্ন মহলে। কেন্দ্র-রিজার্ভ ব্যাঙ্কের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসে। কেন্দ্রের স্পষ্ট বার্তা ছিল, দেশের অর্থনীতিতে নগদের ঘাটতি মেটাতে কোষাগারে থাকা টাকা দিয়ে সাহায্য করুক রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। নগদহীনতায় ভুগছে ব্যাঙ্ক নয় এমন আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি। লোকসভা নির্বাচনের মুখে অর্থনীতি চাঙ্গা করতে মরিয়া কেন্দ্র। উর্জিত প্যাটেল কেন্দ্রের আর্জিতে সাড়া না দেওয়ায় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের আইনের ৭ নম্বর ধারা প্রয়োগ করে ‘পরামর্শ’ দেওয়ার পথে যায় মোদী সরকার। কেন্দ্রের এমন নজিরবিহীন সিদ্ধান্তে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয় বিভিন্ন মহলে। পাশপাশি অনাদায়ী ঋণে জর্জরিত ১১টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ঋণনীতি শিথিল করায় দাবি জানায় কেন্দ্র। সেক্ষেত্রও বেঁকে বসেন উর্জিত প্যাটেল।