কর্ণাটকের ফল ত্রিশঙ্কু হলে কী হবে তাদের ভূমিকা, ইঙ্গিত দিল জেডিএস
শনিবার কর্ণাটক বিধানসভার ২২৪ আসনের মধ্যে ২২২টিতে ভোটগ্রহণ হয়। সরকার গড়তে সেরাজ্যে ১১২টি আসন পেতেই হবে কোনও দলকে। কিন্তু বুথফেরত সমীক্ষা বলছে কোনও দলই ছুঁতে পারবে না ম্যাজিক ফিগার। ১৫ মে অর্থাত্ মঙ্গলবার বেরোবে ভোটের ফল। এই পরিস্থিতিতে তাত্পর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে জেডিএসের ভূমিকা।
ওয়েব ডেস্ক: বিধানসভা নির্বাচনে শনিবারই ভোট দিয়েছেন কর্ণাটকবাসী। ভোট পড়েছে প্রায় ৭০ শতাংশ। আর ভোটগ্রহণ শেষ হতেই প্রকাশিত বুথফেরত সমীক্ষায় আরও জটিল হয়েছে রাজনীতির সমীকর। ৭টির মধ্যে ৫টি বুথফেরত সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে, ত্রিশঙ্কু হতে চলেছে কর্ণাটক বিধানসভা। ১০০-র বেশি আসন পাওয়া সম্ভব নয় বিজেপি বা কংগ্রেস কোনও দলের পক্ষেই। এই পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে স্থানীয় দল জেডিএস-এর ভূমিকা। বুথফেরত সমীক্ষা প্রকাশিত হতেই কড়া প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে তাদের তরফে। দলের মুখপাত্র জানিয়েছেন, প্রতিবার কংগ্রেসের কাছে গিয়ে নিজেদের ধর্মনিরপক্ষতার প্রমাণ দিতে পারবে না জেডিএস। বুথ ফেরত সমীক্ষা সত্যি হলে এবার জেডিএসের কাছে আসতে হবে কংগ্রেসকে।
শনিবার কর্ণাটক বিধানসভার ২২৪ আসনের মধ্যে ২২২টিতে ভোটগ্রহণ হয়। সরকার গড়তে সেরাজ্যে ১১২টি আসন পেতেই হবে কোনও দলকে। কিন্তু বুথফেরত সমীক্ষা বলছে কোনও দলই ছুঁতে পারবে না ম্যাজিক ফিগার। ১৫ মে অর্থাত্ মঙ্গলবার বেরোবে ভোটের ফল। এই পরিস্থিতিতে তাত্পর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে জেডিএসের ভূমিকা। ভবিষ্যতবাণী ফলে গেলে তারাই হবে কিং মেকার। ফলে ভোটগ্রহণ মিটতেই সুর চড়াতে শুরু করেছে তারা।
ভোট প্রচারে জেডিএসকে কাঠগড়ায় তুলেছিল কংগ্রেস। তাদের অভিযোগ ছিল, নির্বাচনে বিজেপির হয়ে কাজ করছে জেডিএস। যদিও অভিযোগ খারিজ করেছেন খোদ দলের সুপ্রিমো এইচডি দেবেগৌড়া। তাঁর দাবি ছিল, কংগ্রেস ও বিজেপি দুই দলকেই হারাবে জেডিএস। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছিলেন, বিধানসভা ত্রিশঙ্কু হলে কোনও দলকে সমর্থন করবে না জনতা দল সেকুলার।
বিমানের মতো এবার রেলের কোচে ব্ল্যাকবক্স, এড়ানো যাবে দুর্ঘটনা
শনিবার ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর সেই সুরেই জেডিএসের মুখপাত্র দানিশ আলি বলেন, 'কংগ্রেস যদি ১০০-র কম আসন পায় তাহলে তাদেরকেই আমাদের কাছে সমর্থন চাইতে আসতে হবে। এটা তাদেরই দায়িত্ব। আমরা আগ বাড়িয়ে কাউকে সমর্থন করব না। কংগ্রেসকেই ঠিক করতে হবে তারা ২০১৯ সালের নির্বাচন কীভাবে লড়বে। নিজেকে ধর্মনিরপেক্ষ প্রমাণ করতে বার বার আত্মত্যাগ করতে পারবে না জেডিএস।'
জেডিএস-এর এই অবস্থান যথেষ্ট তাত্পর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের দাবি, কংগ্রেসের প্রতি সহানুভূতির বার্তা দিলেও তাদের আচরণে মোটেও খুশি নয় দেবেগৌড়ার দল। তাদের অভিযোগ, আঞ্চলিক দলগুলিকে শেষ করতে নিজেকে ব্যবহার করেছে কংগ্রেস। যার ফলে আজ কংগ্রেসের এই হাল হয়েছে। উলটো দিকে ২০টি রাজ্যের ক্ষমতা দখল করে ফেলেছে ভাজপা।