বিপ্লবের ত্রিপুরায় বাধার মুখে I-PAC, হোটেল বন্দি করে রাখার অভিযোগ
পুলিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ।
নিজস্ব প্রতিবেদন:বাংলার ছকেই এবার ত্রিপুরা দখল করতে চাইছে তৃণমূল। সেই লক্ষ্যে ময়দানে নামানো হয়েছে পেশাদার সংস্থা আইপ্যাককে (I-PAC)। বিপ্লব দেবের পদ্ম বাগানে ঘাসফুল চাষের উর্বর জমি তৈরি করতে ইতিমধ্যে পূর্বের ওই রাজ্যে পৌছে গিয়েছে টিম I-PAC। যে দলে রয়েছেন প্রায় ৩০ জন সদস্য়। কিন্তু শুরুতেই বিপত্তি।
I-PAC-এর সদস্যদের হোটেল থেকে বাইরে বের হতেই দেওয়া হচ্ছে না। জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে হোটেলে গিয়ে আইপ্যাকের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে পুলিস। তাঁদের নথিপত্র দেখা হয়। এরপর সোমবার সকালে গ্রাউন্ড রিসার্চের জন্য টিম বের হতে গেলে বাধা দেয় পুলিস। অভিযোগ, তাঁদের হোটেল থেকে বের হতে বাধা দেওয়া হয়। নথি ভেরিফিকেশনের কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত হোটেলেই থাকতে বলা হয়। কেন এই ব্যবস্থা? পুলিসের পালটা যুক্তি, অতিমারির কারণে এই নজরদারি। I-PAC এর অভিযোগ এসে পৌঁছে গিয়েছে এ রাজ্যের তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে। এবার দেশজুড়ে একুশে জুলাই পালন করেছে তৃণমূল। সেদিনও ত্রিপুরার বিজেপি সরকারের কাছে একই ধরনের অভিযোগে সরব হয়েছিল তৃণমূল। শাসকদলের অভিযোগ ছিল, ত্রিপুরাতে ২১ জুলাইয়ের কর্মসূচি বানচাল করেছে বিপ্লব দেবের সরকার। এবার I-PAC-এর প্রতিনিধিদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ করছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: দিল্লি সফরে Mamata, মঙ্গলে বৈঠক Modi-র সঙ্গে
আরও পড়ুন: দিল্লি গেলেন Mamata, বিকেলেই TMC-র সংসদীয় কমিটির বৈঠক ডাকলেন Abhishek
২০২৩ সালে ত্রিপুরায় বিধানসভার ভোট। হাতে প্রায় দু'বছর। বাংলার মতো সেখানেও তৃণমূলের হয়ে কাজ শুরু করতে চাইছে আইপ্যাক (I-PAC)। বাংলায় ২০২৬ সাল পর্যন্ত আইপ্যাকের (IPAC) সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে তৃণমূল (TMC)। লোকসভা ভোটে বিজেপি ১৮ আসন জেতার পর প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে যোগসূত্র তৈরি হয় তৃণমূলের। একুশের ভোটের ফলেই স্পষ্ট, কতটা সফল প্রশান্ত ও আইপ্যাকের রণনীতি। ক্রিকেটে একটা কথা আছে,'উইনিং কম্বিনেশন বদলাতে নেই।' সেই কৌশলই এবার ত্রিপুরায় খাটাতে চলেছে তৃণমূল। সূত্রের খবর, এ রাজ্যের মতো ত্রিপুরায় বামেদের সরিয়ে বিজেপি ও তৃণমূলের দ্বিমুখী লড়াইয়ের জমি তৈরি করবে আইপ্যাক।