'এক মালিশেই ভ্রূণের লিঙ্গ বদল!' রাম রহিমের পর গ্রেফতার আরও এক স্বঘোষিত 'গডম্যান'
ওয়েব ডেস্ক: স্বঘোষিত গডম্যান রাম রহিমকে নিয়ে মানুষেক জল্পনার অবসান হয়নি। এরইমধ্যে উঠে এল আরেক বাবার নাম। তাঁর দাবি মত, তিনিও নাকি ইশ্বরেরই দূত। শুধু তাই নয়, তাঁর মধ্যে রয়েছে অলৌকিক ক্ষমতাও। ইশ্বর নাকি তাঁকে এক 'অলৌকিক তেল' দিয়েছেন, যা মালিশ করলেই পুত্রসন্তানের জন্ম দেবেন প্রসূতিরা।হায়দরাবাদে নিজের ব্যবসা ফেঁদে বসেছিলেন স্বঘোষিত ‘গডম্যান।’ কিন্তু ভাগ্যের পরিহাসে, তাঁর সেই কেচ্ছা ফাঁস হয়ে গেল।হায়দরাবাদের সেই বাবাকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই সাধুর ব্যবসা ছিল মূলত গর্ভস্থ মহিলাদের নিয়ে। গর্ভবতীরা এঁর কাছে আসতেন এক ‘অলৌকিক তেল’ কিনতে। বাবার দাবি ছিল, এই তেল তলপেটে মালিশ করলেই পুত্রসন্তান জন্মাবে।
বাবার কারবার যে পুরোপুরি জাল, তা সামনে আসে যখন এই তেল মালিশ করার পরেও অনেকের কন্যাসন্তান জন্মায়। প্রতারিতদের মধ্যে একজন, হায়দরাবাদের নামপল্লির হাবিবা ফতিমা। ২০১৬ সালের অগাস্ট মাসে মহম্মদ মনসুরের সঙ্গে বিয়ে হয় ফতিমার। বিয়ের কয়েক সপ্তাহ পরেই কাজের সূত্রে বিদেশে পাড়ি দেন মনসুর। ততদিনে ফতিমা সন্তানসম্ভবা হয়ে পড়েছেন। সেই কথা শ্বশুরবাড়ির লোকেরা জানতে পারলে ফতিমাকে জানান, পুত্রসন্তান না হলে মনসুর তাঁকে ডিভোর্স দেবেন। হাবিবা ভ্রুণের লিঙ্গ পরীক্ষা করাননি। কিন্তু শ্বশুরবাড়ির লোকেরা কোনও ঝুঁকি নিতে রাজি ছিলেন না। তাঁরা ওই গডম্যানের পরামর্শ নেন। এর পর ওই ভুয়ো সাধুর থেকে ছেলে হওয়ার তেল কিনে পেটে মালিশ করেন ফতিমা।
কিন্তু একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন ফতিমা। মেয়ে হওয়ার পর শ্বশুরবাড়ি থেকে হাবিবাকে বলা হয়, তাঁদের বাড়ি থাকতে হলে বাড়তি ১০ লক্ষ টাকা পণ দিতে হবে। তার উপর স্বামীও তাঁকে তালাক-ই-বয়ান প্রথার মাধ্যমে দুজন সাক্ষীর হাজিরায় ডিভোর্স দেওয়ার কথা জানিয়ে নোটিস পাঠান। ফতিমার শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।