হায়দরাবাদ বিস্ফোরণের তদন্ত ভার এনআইএ-র হাতে তুলে দেবে অন্ধ্র সরকার

বিস্ফোরণের পর ১২ দিন কেটে গিয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক দাবি করেছে দ্রুত নিষ্পত্তি হবে হায়দরাবাদ বিস্ফোরণের তদন্তের। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কার্যত তদন্তে কোনও খেই পায়নি অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিস। ফলে তদন্তের ভার এনআইএ হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল অন্ধ্র সরকার। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী কিরণ কুমার রেড্ডি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি সবিতা রেড্ডির পৌরহিত্যে বসা একটি বৈঠকে বিস্ফোরণের তদন্তভার জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

Updated By: Mar 4, 2013, 10:53 PM IST

বিস্ফোরণের পর ১২ দিন কেটে গিয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক দাবি করেছে দ্রুত নিষ্পত্তি হবে হায়দরাবাদ বিস্ফোরণের তদন্তের। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কার্যত তদন্তে কোনও খেই পায়নি অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিস। ফলে তদন্তের ভার এনআইএ হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল অন্ধ্র সরকার। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী কিরণ কুমার রেড্ডি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি সবিতা রেড্ডির পৌরহিত্যে বসা একটি বৈঠকে বিস্ফোরণের তদন্তভার জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিন দিন আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে হায়দরাবাদ বিস্ফোরণের তদন্ত এনআইএর হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ আসে। এরপরই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান।
ইন্ডিয়ান মুজাহিদ্দিন জঙ্গি সইদ মকবুল এবং ইমরান খানকে জেরার জন্য ইতিমধ্যেই দিল্লির তিহার জেল থেকে হায়দরাবাদে নিয়ে আসা হয়েছে। বিস্ফোরণের উদ্দেশ্য জানতে টানা চার দিন ধরে তাঁদের জেরা করা হয়। পাকিস্তানের লস্কর-ই-তইবার সঙ্গে যোগাযোগ থাকা স্থানীয় জঙ্গি সংগঠনগুলিকেও সন্দেহের ঊর্ধ্বে রাখছেন না গোয়েন্দারা।
মকবুল ও ইমরান খান বিস্ফোরণের আগে বেশ কয়েকবার দিলসুখনগর এলাকায় রেকি চালিয়েছিল বলে তদন্তকারিদের দাবি। ফলত তাঁদের দু`জনকে জেরা করলে বিস্ফোরণের জট অনেকটাই খুলবে এমনটাই ধারণা গোয়েন্দাদের। রাজ্য প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে তদন্ত প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখেন। এই ঘটনার তদন্তে বিশেষজ্ঞের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন বলে তদন্ত ভার কেন্দ্রের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেড্ডির সরকার।
গত ২১ ফেব্রুয়ারি হায়দরাবাদের ভিড়ে ঠাসা দিলসুখনগরে জোড়া বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণে ইম্প্রোভাইস এক্সুসিভ ডিভাইস ব্যবহার করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে। সে দিনের বিস্ফোরণে ১৬ জনের মৃত্যু হয় এবং ১১৭ জন জখম হন।

.