গৃহবধূদের মাস মাইনের বিল আনতে চলেছে কেন্দ্র
এবার থেকে গৃহকর্মের স্বীকৃতি পেতে চলেছেন গৃহবধূরা। সম্প্রতি, নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রকের নির্দেশ অনুযায়ী গৃহকর্মের জন্য প্রত্যেক মাসে স্ত্রীদের মাইনে দিতে হতে পারে স্বামীদের। খসরাও তৈরি হয়ে গেছে বিলের। আগামী ৬ মাসের মধ্যেই সংসদে পেশও হবে বিল।
এবার থেকে গৃহকর্মের স্বীকৃতি পেতে চলেছেন গৃহবধূরা। সম্প্রতি, নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রকের নির্দেশ অনুযায়ী গৃহকর্মের জন্য প্রত্যেক মাসে স্ত্রীদের মাইনে দিতে হতে পারে স্বামীদের। খসরাও তৈরি হয়ে গেছে বিলের। আগামী ৬ মাসের মধ্যেই সংসদে পেশও হবে বিল। আর সংসদে পাস হলেই প্রত্যেক মাসে আইনতভাবে নিজেদের বেতনের ১০-থেকে ২০ শতাংশ 'গৃহবধূ' স্ত্রীদের অ্যাকাউন্টে জমা করতে হবে স্বামীদের।
নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী কৃষ্ণা তিরথ জানিয়েছেন সমাজের মহিলাদের উন্নয়নের স্বার্থই এই বিল আনতে চলেছে সরকার। ভারতের মতো দেশে উদয়াস্ত পরিশ্রম করেও উদাসীনতার শিকার গৃহবধূরা। নেই আর্থিক স্বাধীনতা। সামাজিক পরিসরে নিজেদের কাজের স্বীকৃতিও মেলে না বহু ক্ষেত্রেই। নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রকের প্রস্তাবিত বিল পাস হলে আর্থিক ভাবে হয়তো কিছুটা হলেও স্বাধীনতা পাবেন গৃহবধূরা। তবে বিলটির সীমাবদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। দিনে ৮ ঘণ্টার সময়সীমা কি কখনই বেঁধে দেওয়া সম্ভব তাঁদের জন্য? সেক্ষেত্রেও, প্রায় রোজই ওভারটাইম কাজ করেও স্বামীর আয়ের ১০-থেকে ২০ শতাংশেই আটকে থাকবে তাঁদের রোজগার।
অন্যদিকে নতুন প্রজন্মের বহু মহিলা স্বনির্ভর হলেও ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে মধ্যবিত্ত এবং উচ্চবিত্ত পরিবার গুলিতে এখনও পর্যন্ত বিয়ের পর মহিলাদের চার দেওয়ালের মধ্যে থাকার রেওয়াজই প্রচলিত। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বাড়ির বউয়ের স্বনির্ভরতাকে প্রশ্রয় দেওয়া হয় না। শ্বশুরবাড়ির ইচ্ছানুসারেই জীবনযাপন করেন মহিলারা। সেক্ষেত্রে, এই আইন কার্যকর হলে মহিলাদের গৃহবন্দি করে রাখার প্রবণতা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এমনকী, রক্ষণশীল মানসিকতায় প্রতিপালিত হওয়া অনেক মহিলারাও বাড়ির বাইরে গিয়ে রোজকার করার ঝক্কি নেওয়ার থেকে স্বামীর ওপর নির্ভরশীল থাকাকেই সম্মানের মনে করেন। এই বিল তাঁদের এই মানসিকতাকে উসকে দেওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।