প্রিয়ঙ্কার নিরাপত্তার প্রশ্নে ‘কাকতালীয়’ বলে ব্যাখ্যা দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ
গত ২৫ নভেম্বর দিল্লির লোদী স্টেটের বাড়িতে কর্মীদের বৈঠক করছিলেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা। সে সময় কালো গাড়িতে নিরাপত্তা রক্ষীর নাকের ডগা দিয়ে ওই অপরিচিত কয়েকজন প্রবেশ করেন
নিজস্ব প্রতিবেদন: বলা নেই কওয়া নেই, প্রিয়ঙ্কার বাসভবনে প্রবেশ করেছিলেন অপরিচিত কয়েকজন। আবদার ছিল নিজস্বী তোলার। দলের কর্মী বলে প্রবেশের অনুমতি দেয় নিরাপত্তারক্ষী। দলের কর্মী হোক বা না হোক, প্রিয়ঙ্কা বঢরা, গান্ধী পরিবারের সদস্য। কিছু দিন আগে পর্যন্ত প্রাণনাশের আশঙ্কায় পেতেন এসপিজি সুরক্ষা। কাকতালীয় ভাবে এসপিজি সুরক্ষা হটতেই এমন কাণ্ড! এর ফলে বিরোধীরা নিশানা যথেষ্ট অস্বস্তিতে কেন্দ্র। মঙ্গলবার রাজ্যসভায় তার ব্যাখ্যাও দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
গত ২৫ নভেম্বর দিল্লির লোদী স্টেটের বাড়িতে কর্মীদের বৈঠক করছিলেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা। সে সময় কালো গাড়িতে নিরাপত্তা রক্ষীর নাকের ডগা দিয়ে ওই অপরিচিত কয়েকজন প্রবেশ করেন। কোনও জিজ্ঞাসাবাদ বা ছানবিনের ধার ধারেননি নিরাপত্তা রক্ষীরা। যখনও তাঁরা প্রিয়ঙ্কার কাছে নিজস্বী তোলার আবদার করেন, হুঁশ ফেরে নিরাপত্তা রক্ষীদের। এ নিয়ে প্রিয়ঙ্কার স্বামী রবার্ট বঢরা কেন্দ্রের সমালোচনা করে সোশ্যাল মিডিয়া একটি পোস্ট করেন। বলেন, প্রিয়ঙ্কার নিরাপত্তার প্রশ্ন নয়, দেশের মহিলাদের নিরাপত্তার প্রশ্ন উঠছে।
আরও পড়ুন- পাঁচ বছর পর মোদীও এসপিজি-র সুরক্ষা না পেতে পারেন, যদি না... বললেন অমিত শাহ
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ দিন মেনে নেন নিরাপত্তার মধ্যে ফাঁক ছিল। তবে, সেটাকে ‘কাকতালীয়’ বলে ব্যাখ্যা করেন। অমিত শাহের কথায়, “যে সময় অপরিচিত ব্যক্তিরা প্রবেশ করেন, সে সময় রাহুল গান্ধীর কালো গাড়ি করে আসার কথা ছিল। কাকতালীয় যে, তারাও কালো গাড়ি করে প্রবেশ করে। দলীয় কর্মী ভেবে তল্লাশির প্রয়োজন বোধ করেনি নিরাপত্তারক্ষীরা।” এ ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যে বরখাস্ত করা হয়েছে ৩ নিরাপত্তারক্ষীকে। গান্ধী পরিবারের ন্যূনতম আশঙ্কার কথা মাথায় রেখেই সরকার পদক্ষেপ করবে বলে আশ্বাস দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।