সেনা হত্যার পিছনে সন্দেহের তির হাফিজ সইদের দিকে
পুঞ্চের মেন্ধর সেক্টরে দুই ভারতীয় সেনার হত্যার ঘটনায় আসল মাথা কি হাফিজ মহম্মদ সইদ? গোয়েন্দা রিপোর্টে এই আশঙ্কা জোরদার হচ্ছে। ঘটনার কয়েকদিন আগেই পাক অধিকৃত কাশ্মীরে উপস্থিত হয়েছিলেন জামাত-উদ-দাওয়া প্রধান হাফিজ সইদ।
পুঞ্চের মেন্ধর সেক্টরে দুই ভারতীয় সেনার হত্যার ঘটনায় আসল মাথা কি হাফিজ মহম্মদ সইদ? গোয়েন্দা রিপোর্টে এই আশঙ্কা জোরদার হচ্ছে। ঘটনার কয়েকদিন আগেই পাক অধিকৃত কাশ্মীরে উপস্থিত হয়েছিলেন জামাত-উদ-দাওয়া প্রধান হাফিজ সইদ। একথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীলকুমার শিন্ডে। তাই ওই হামলার সঙ্গে লস্কর-এ-তৈবার যোগসাজশের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না বলেও মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।ফের শিরোনামে হাফিজ সইদ। মুম্বই হামলার প্রধান চক্রী। আটই জানুয়ারি পুঞ্চের মেন্ধর সেক্টরে দুই ভারতীয় জওয়ানকে নির্মমভাবে হত্যার ঠিক আগেই লাইন অব কন্ট্রোলে এসেছিলেন সইদ। গোয়েন্দা রিপোর্টে এমনই তথ্য মিলেছে। পাক জওয়ানদের উদ্বুদ্ধ করতেই তাঁর অভিযান বলে অনুমান। গোয়েন্দা রিপোর্টের ওই তথ্যের কথা স্বীকার করেছেন খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তবে কি এবারও ঘটনার পিছনে প্রধান মাথা হাফিজ সইদ? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যে জ্বালানি পেয়েছে সেই আশঙ্কাই। তবে লস্কর যোগসাজশের কথাও উড়িয়ে দেননি তিনি।
ঘটনার পিছনে পাক যোগসাজশের কথা অস্বীকার করেছে ইসলামাবাদ। এমন দুঃখজনক ঘটনা এই প্রথম নয়। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ফের তোপ দেগে মন্তব্য জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিবশঙ্কর মেননের। ইদানীংকালে অস্ত্রসংবরণ বারবার লঙ্ঘিত হচ্ছে এবং অনুপ্রবেশ বাড়ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আট তারিখ সকালে মেন্ধরে পেট্রলিংয়ে বেরিয়েছিলেন সাত জওয়ান। তাঁদের নেতৃত্বে ছিলেন হেমরাজ সিং এবং সুধাকর সিং। আচমকাই গুলিবৃষ্টি শুরু হয়। প্রায় আধঘণ্টা ধরে গুলি চলতে থাকে। ঘণ্টাখানেক পরে দুই জওয়ানের মাথা কাটা ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। পাকিস্তানের ২৯ নম্বর বালুচ রেজিমেন্টের জওয়ানেরা এই অভিযানে ছিলেন বলে মনে করছে ভারতীয় সেনা। এবং এই হামলার পরিকল্পনা এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চলছিল বলেই অনুমান।
উত্তরপ্রদেশের শেরনগরে নিহত জওয়ান হেমরাজ সিংয়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় বৃহস্পতিবার। ভারতীয় সেনাবাহিনীর নায়েক হেমরাজ সিংয়ের অকালমৃত্যুতে মু্হ্যমান গোটা গ্রাম।