মোদী হিরো না জিরো, অপেক্ষার প্রহরগণনা শুরু

বুথ ফেরত সমীক্ষায় উঠে এসেছে মোদী সাম্রাজ্য বহাল থাকছে গুজরাতে। বীরভদ্র সিং ফিরছেন হিমাচল প্রদেশে। কিন্তু `এক্সিট পোল` আসল ফলাফল নয়। টানটান উত্তেজনা, জল্পনা-কল্পনার অবসান এখন রাত পোহানোর অপেক্ষা। কালই স্পষ্ট হয়ে যাবে কোনটা ঠিক কোনটা ভুল। কিন্তু সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ, ২০১২ গুজরাত নির্বাচনে সম্মুখসমরে এসেছে দুই মহাশক্তি। একদিকে গোটা কংগ্রেস দল, অপরদিকে শুধু একাই মোদী। একইভাবে হিমাচলে লড়াই ভারতীয় জনতা পার্টির সঙ্গে একা বীরভদ্রর। বুথ ফেরত সমীক্ষার নিরিখেও উভয় নির্বাচনী যুদ্ধে নায়ক হবে ব্যক্তি, দল নয়।

Updated By: Dec 19, 2012, 10:00 PM IST

বুথ ফেরত সমীক্ষায় উঠে এসেছে মোদী সাম্রাজ্য বহাল থাকছে গুজরাতে। বীরভদ্র সিং ফিরছেন হিমাচল প্রদেশে। কিন্তু `এক্সিট পোল` আসল ফলাফল নয়। টানটান উত্তেজনা, জল্পনা-কল্পনার অবসান এখন রাত পোহানোর অপেক্ষা। কালই স্পষ্ট হয়ে যাবে কোনটা ঠিক কোনটা ভুল। কিন্তু সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ, ২০১২ গুজরাত নির্বাচনে সম্মুখসমরে এসেছে দুই মহাশক্তি। একদিকে গোটা কংগ্রেস দল, অপরদিকে শুধু একাই মোদী। একইভাবে হিমাচলে লড়াই ভারতীয় জনতা পার্টির সঙ্গে একা বীরভদ্রর। বুথ ফেরত সমীক্ষার নিরিখেও উভয় নির্বাচনী যুদ্ধে নায়ক হবে ব্যক্তি, দল নয়। এমনকী জয়ীরা যদি জাতীয় রাজনৈতিক দলের প্রার্থী হন, সেক্ষেত্রেও এই জয় ব্যক্তিরই হবে। দুই রাজ্যে যুদ্ধ এখন রাজায় রাজায়। বিজেপি ও কংগ্রেস তাদের জয়ের পক্ষে যতটাই সুর চড়াক না কেন, সত্য সাফ হবে কাল সকালেই।
শেষ দফার ভোটদান যখন সারা, তখন সবকটা প্রথম সারির সংবাদ মাধ্যমের ভবিষ্যতবাণীতে উঠে এল, গুজরাতে ক্ষমতায় ফিরছেন মোদী। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মত, ২০১৪-র মহাভারতের নিরিখে গেরুয়া দলের কাছে এই জয় খুবই প্রয়োজনীয়। তবে মোদীর জয়ে বিজেপির অন্দরে একটা আশঙ্কার দিকও থাকছে। কাল বড় জয় পেলে জাতীয় রাজনীতিতে এমনভাবে পা রাখবেন মোদী যাতে পদ্মফুলের বাকিরা চাপা পড়ে যাবেন। দাঙ্গার কালো দাগ থাকা মোদী তখন বিজেপির প্রধানমন্ত্রীত্বের প্রার্থী। যা নিয়ে বিজেপির বিশুদ্ধবাদী ক্যাম্পে একটা নাক উঁচু করার ব্যাপার থাকছে। অবশ্য জয়টা এখন বিজেপির খুব দরকার। দলের একাংশের মত, গুজরাতে মোদীর জয় নতুন আত্মবিশ্বাস জোগাবে দলীয় কর্মীদের মনে। গত কয়েক মাস ভারতীয় জনতা পার্টির কাছে এতটাই খারাপ গেছে যে অনেকেই বলছেন ২০১২ নাকি বিজেপির কাছে ধ্বংসের বছর। রামজেঠ মালানি, শত্রুঘ্ন সিনহার মতো প্রবীণ বিজেপি নেতার খোদ নীতিন গড়করীর সততা নিয়ে সমালোচনা, প্রাক্তন কর্নাটক মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পার দলত্যাগ, গুজরাতে বিজেপির ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপনকারী কেশুভাই প্যাটেলের দল থেকে বেড়িয়ে আসার মতো ঘটনায় বিজেপির চাপের ঝোলা ভারি হয়েছে। এমন একটা পরিস্থিতিতে পাঁকে পদ্ম ফুল হতে পারে মোদীর জয়।
গুজরাতে দু`দফার নির্বাচনে ৭০ শতাংশের বেশি ভোটদান নজীর কায়েম করেছে। বিশ্লেষকদের মতে, `রেকর্ড ভোট` মানে হয় শাসক শক্তির হার নতুবা বিশাল জনরায়ে শাসকদলের পুনরায় ক্ষমতায় ফিরে আসা। কিন্তু বুথফেরত সমীক্ষায় ইতিমধ্যেই স্পষ্ট, মোদী এবার কংগ্রেসকে নিশ্চিহ্ন করতে মরিয়া। এক্সিট পোলের মার্কশিটের উল্লেখ না হয় নাই করলাম। কিন্তু সবকটি সমীক্ষক সংস্থার রায় থেকে সরল সমীকরণ করে বলাই যায়, চতুর্থ বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হয়ে মোদী আসলে দিল্লির রাস্তা পাকা করবেন। রাজনৈতিক ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রায় যাই হোক গুজরাত ও হিমাচলের রায় বিজেপি ও কংগ্রেস, দুই প্রধান দলের কাছেই রাজনৈতিক তরজা কষার নতুন ইস্যু তুলে দিতে পারে। ২০১২ থেকে ২০১৪, অন্তর্বর্তী এইসময়ে সংসদের ভিতরে ও বাইরে কোন পক্ষের `হসলা বুলন্দ` থাকবে তাও পরিষ্কার হয়ে যাবে কালকের রায় থেকেই।

.