পানাজির মিরামর সৈকতে পর্রীকরে শেষকৃত্য সম্পন্ন পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায়

গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালে তাঁর অনাড়ম্বর জীবযাত্রার ভক্ত ছিলেন হাজারো মানুষ। এমনকী গোয়ার রাস্তার পাশে নিরাপত্তার ধার না ধেরে তাঁকে চা খেতেও দেখেছেন অনেকে

Updated By: Mar 18, 2019, 07:15 PM IST
পানাজির মিরামর সৈকতে পর্রীকরে শেষকৃত্য সম্পন্ন পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায়
ছবি-টুইটার

নিজস্ব প্রতিবেদন: পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী তথা গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর পর্রীকরের শেষকৃত সম্পন্ন হল পঞ্জিমে মিরামর সৈকতে। শেষ শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী-সহ কেন্দ্রের অন্যান্য মন্ত্রীরা। পাশাপাশি, রাজ্যের বিজেপি নেতা, বিধায়করাও উপস্থিত ছিলেন।

দীর্ঘ রোগভোগের পর গত কাল রাতে মৃত্যু হয় মনোহর পর্রীকরের। অগ্ন্যাশয়ে ক্যানসারের আক্রান্ত হয়ে গত বছর ফেব্রুয়ারিতে বিদেশে চিকিত্সা চলছিল পর্রীকরের। এর পর দিল্লির এইমস-এও তাঁর চিকিত্সা চলে। সেখান থেকে ছুটি পেয়ে কয়েক মাসের মধ্যেই দফতরে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী পর্রীকর। তবে, নাকে ফিডিং নল, ভগ্ন শরীরেই কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি বলেছিলেন, জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত দেশের জন্য কাজ করবেন। আর সেটাই তিনি করে গেলেন। কয়েক দিন আগে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বাড়িতেই তাঁর চিকিত্সা চলে। শনিবারই পর্রীকরের পরিস্থিতি অত্যন্ত সঙ্কটজনক বলে জানান চিকিত্সকরা। রবিবার বিকেলে মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে জানানো হয়, অত্যন্ত সঙ্কটজনক অবস্থায় রয়েছেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিফলে গেল সব চেষ্টা। 

আরও পড়ুন- উত্তরপ্রদেশ, বাংলার পর বিহারে ধাক্কা মহাজোটে, কংগ্রেসের আবদারে 'না' আরজেডি-র

গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালে তাঁর অনাড়ম্বর জীবযাত্রার ভক্ত ছিলেন হাজারো মানুষ। এমনকী গোয়ার রাস্তার পাশে নিরাপত্তার ধার না ধেরে তাঁকে চা খেতেও দেখেছেন অনেকে। চার বার গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী হলেও পর্রীকরের বিরুদ্ধে কখনো দুর্নীতির অভিযোগ ওঠেনি। সেজন্যই প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের গুরুদায়িত্ব দেওয়ার জন্য তাঁকে গোয়া থেকে দিল্লি তলব করেন নরেন্দ্র মোদী। সেখানেও নিজের স্পর্ধার পরিচয় রাখেন পর্রীকর। উরি হামলার পর পাক অধিকৃত কাশ্মীরে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হয় তাঁরই জমানায়। 

আরও পড়ুন- ভোটার স্লিপে আর ভোট নয়, দেখাতে হবে পরিচয় পত্র

রাজনীতি ও সরকারে বিভিন্ন গুরুভার সামলালেও পর্রীকরের পছন্দ ছিল সাধারণ পোশাক। আম আদমির মতো প্যান্ট-শার্ট পরেই দেখা যেত তাঁকে। বড় কোনও বৈঠক না থাকলে কোট-প্যান্টের ঝামেলায় যেতেন না তিনি। ছেলের বিয়েতেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। হাফ হাতা শার্ট, প্যান্ট আর চটিতে অতিথিদের অভ্যর্থনা জানিয়েছিলেন তিনি। 

.