ছাত্রীদের 'টানে' ভিড় জমাবে ছাত্ররা, তাই আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে মেয়েদের প্রবেশে 'না' উপাচার্যের

আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে মৌলনা আজাদ লাইব্রেরি ব্যবহারের ছাত্রীদের অনুরোধ উড়িয়ে দিলেন উপাচার্য লেফট্যানেন্ট জেনেরাল জামীর উদ্দিন শাহ। তাঁর মতে মেয়েরা লাইব্রেরি ব্যবহার করলে 'তাদের টানে' অনেক বেশি ছেলে জমা হবে লাইব্রেরিতে। তাই ছাত্রীদের লাইব্রেরির সদস্যপদ দেওয়া হবে না।

Updated By: Nov 11, 2014, 02:24 PM IST
 ছাত্রীদের 'টানে' ভিড় জমাবে ছাত্ররা, তাই আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে মেয়েদের প্রবেশে 'না' উপাচার্যের

আলিগড়: আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে মৌলনা আজাদ লাইব্রেরি ব্যবহারের ছাত্রীদের অনুরোধ উড়িয়ে দিলেন উপাচার্য লেফট্যানেন্ট জেনেরাল জামীর উদ্দিন শাহ। তাঁর মতে মেয়েরা লাইব্রেরি ব্যবহার করলে 'তাদের টানে' অনেক বেশি ছেলে জমা হবে লাইব্রেরিতে। তাই ছাত্রীদের লাইব্রেরির সদস্যপদ দেওয়া হবে না।

নিজের বক্তব্যের স্বপক্ষে যুক্তি দিয়ে তিনি বলেছেন ''বিষয়টা নিয়মানুবর্তিতার নয়। বিষয়টা স্থানাভাবের। আমাদের লাইব্রেরিতে জায়গা নেই।''

আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেনস কলেজের প্রিন্সিপাল নাইমা গুলরেজ উপাচার্যের সুরে সুর মিলিয়েছেন। নতুন ছাত্র ইউনিয়নের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন ''লাইব্রেরি ব্যবহারের দাবির কারণ আমরা বুঝি। কিন্তু তোমরা মেয়েরা কোনওদিন কি লাইব্রেরিটা দেখেছ? ছেলেদের ভিড়েই লাইব্রেরি ভর্তি থাকে। এবার যদি মেয়েরাও ওখানে জড়ো হয় তাহলে নিয়মশৃঙ্খলা ভেঙে পড়বে।''

বহু বছর ধরেই মহিলা কলেজের পড়ুয়ারা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে অবস্থিত মৌলনা আজাদ লাইব্রেরির সদস্যপদের দাবি জানিয়ে আসছেন।

উইমেনস কলেজের ছাত্রী সংসদের প্রেসিডেন্ট গুজফিজা খান বলেছেন ''আমরাও আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া। আমাদেরও অধিকার আছে বিখ্যাত মৌলনা আজাদ লাইব্রেরির সুবিধা পাওয়ার। উইমেনস কলেজের লাইব্রেরি যথেষ্ট নয়। যদি সত্যিই স্থানাভাব হয়ে থাকে তাহলে আমাদের অন্তত বই ইস্যু করতে দেওয়া হক। আমরা না হয় লাইব্রেরিতে বসব না।''

ছেলে ও মেয়েদের মধ্যে এই ধরণের বৈষম্য বন্ধ করে লাইব্রেরির দরজা সবার জন্য খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে ছাত্রী সংসদ।

১৯০৬ সালে আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে উইমেনস কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। সেই তখন থেকে এখনও পর্যন্ত উইমেনস কলেজের পড়ুয়াদের মৌলনা আজাদ লাইব্রেরির সদস্যপদ দেওয়া হয় না।

 

.