ফের অনারকিলিং: ভিন্ন বর্ণে বিয়ের 'অপরাধে' দিল্লিতে মেয়েকে খুন বাবা-মায়ের
আবার অনার কিলিং। এবার ঘটনাস্থল রাজধানী নয়া দিল্লি। ভিন্ন বর্ণের একটি ছেলেকে বিয়ে করার 'অপরাধে' নিজের মেয়েকেই খুন করার অভিযোগ উঠল মা-বাবার বিরুদ্ধে। ২১ বছরের ভাবনা যাদব ভেঙ্কটেশ্বর কলেজের ফাইনলাই ইয়ারের ছাত্রী ছিল। অভিযোগ, শনিবার রাতে পশ্চিম দিল্লির কারোলাতে নিজের বাড়িতেই তাঁকে খুন করে প্রপার্টি ডিলার বাবা জগমোহন যাদব ও মা সাবিত্রী।
নয়া দিল্লি: আবার অনার কিলিং। এবার ঘটনাস্থল রাজধানী নয়া দিল্লি। ভিন্ন বর্ণের একটি ছেলেকে বিয়ে করার 'অপরাধে' নিজের মেয়েকেই খুন করার অভিযোগ উঠল মা-বাবার বিরুদ্ধে। ২১ বছরের ভাবনা যাদব ভেঙ্কটেশ্বর কলেজের ফাইনলাই ইয়ারের ছাত্রী ছিল। অভিযোগ, শনিবার রাতে পশ্চিম দিল্লির কারোলাতে নিজের বাড়িতেই তাঁকে খুন করে প্রপার্টি ডিলার বাবা জগমোহন যাদব ও মা সাবিত্রী।
দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লির পুলিসের ডেপুটি কমিশনার সুমন গোয়েল জানিয়েছেন ''বাবা-মা মেয়েটির মৃতদেহ রাজস্থানের আলওয়ারে তাদের পূর্বপুরুষের ভিটেতে নিয়ে গিয়ে পুড়িয়ে ফেলে। আমরা মেয়েটির বাবা-মাকে গ্রেফতার করেছি। তদন্ত চলছে।''
২০১২ সালে এক বন্ধুর সূত্রে সরকারি কর্মচারী অভিষেক শেঠের সঙ্গে আলাপ হয় ভাবনার। প্রাথমিক ভাবে তাঁদের বন্ধুত্ব প্রেম পর্যন্ত গড়ায়। বাড়ি থেকে মেনে নেবে না জেনেয় বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয় দু'জনে। চলতি মাসের ১২ তারিখ নয়া দিল্লির মন্দির মার্গের আর্য সমাজ মন্দিরে বিয়ে করেন তাঁরা। অভিষেক ভাবনাকে পশ্চিম দিল্লির উত্তম নগরে নিজের বাড়ি নিয়ে যান। অভিষেকের বাবা-মা এই বিয়ে মেনেও নেন বলে পুলিস সূত্রে জানা গেছে।
অভিষেক জানিয়েছেন সেদিন রাতেই ভাবনার বাবা-মা তাঁদের বাড়ি এসে জানান ঘটা করে অভিষেকের সঙ্গে ভাবনার বিয়ে দিতে চান তাঁরা। মেয়েকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পর অবশ্য তাঁর বাবা-মা কথা বদলে ফেলেন। মেয়েকে সাফ জানান এই বিয়ে তাঁরা মানছেন না এবং তাঁদের ইচ্ছামতই ভাবনাকে অন্য জায়গায় বিয়ে করতে হবে। ১৪ নভেম্বর ভাবনা অভিষেকের বাড়ি ফিরে আসেন। কিছু প্রতিবেশীকে সঙ্গে করে ভাবনার বাবা-মা ফের অভিষেকের বাড়ি আসেন। প্রতিশ্রুতি দেন এনগেজমেন্ট সেরেমনির পর রবিবার তাঁরা ভাবনাকে অভিষেকের বাড়ি ফিরিয়ে দিয়ে যাবেন।
শনিবার রাতে ভাবনার মামা অভিষেককে ফোন করে খুনের হুমকি দেন। এর মিনিট খানেক পর ভাবনা অভিষেককে ফোন করে জানান মাতাল মামার কথায় পাত্তা না দিতে। রবিবার সকাল থেকে বারবার ভাবনা ও তাঁর বাবা-মাকে ফোন করলেও উত্তর পাননি অভিষেক। এরপর ভাবনার এক তুতোভাই অভিষেককে ফোন করে জানান আলওয়ারে ভাবনাকে দাহ করা হয়ে গেছে। এরপরই অভিষেক পুলিসের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন।