কান্ডাকে রবিবার জেরা করবে দিল্লি পুলিস
গীতিকা আত্মহত্যা কাণ্ডে ধৃত হরিয়ানার প্রাক্তন মন্ত্রী গোপাল কান্ডাকে রবিবার জিজ্ঞাসাবাদ করবে দিল্লি পুলিস। গতকালই তাঁর সাতদিনের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে দিল্লির একটি আদালত। টানা ১০ দিন ফেরার থাকার পর গত শুক্রবার গভীর রাতে আত্মসমর্পণ করলেন হরিয়ানার প্রাক্তন মন্ত্রী গোপাল কান্ডা। এয়ারহোস্টেস গীতিকা শর্মার আত্মহত্যার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সিরসার নির্দল বিধায়ক তথা এমডিএলআর এয়ারলায়েন্স-এর কর্তা গোপাল কান্ডা।
গীতিকা আত্মহত্যা কাণ্ডে ধৃত হরিয়ানার প্রাক্তন মন্ত্রী গোপাল কান্ডাকে রবিবার জিজ্ঞাসাবাদ করবে দিল্লি পুলিস। গতকালই তাঁর সাতদিনের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে দিল্লির একটি আদালত। টানা ১০ দিন ফেরার থাকার পর গত শুক্রবার গভীর রাতে আত্মসমর্পণ করলেন হরিয়ানার প্রাক্তন মন্ত্রী গোপাল কান্ডা। এয়ারহোস্টেস গীতিকা শর্মার আত্মহত্যার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সিরসার নির্দল বিধায়ক তথা এমডিএলআর এয়ারলায়েন্স-এর কর্তা গোপাল কান্ডা। একটি সূত্রে খবর শনিবার ভোররাতে দিল্লির অশোক বিহার থানায় আত্মসমর্পণ করেন তিনি। এরপরই তাকে গ্রেফতার করে পুলিস। আজই তাঁকে দিল্লির রোহিনী আদালতে পেশ করা হয়েছে। কান্ডাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়েছে পুলিস।
অগাস্টের ৫ তারিখ এমডিএলআর এয়ারলাইন্সের বিমানসেবিকা গীতিকা শর্মা দিল্লির অশোক বিহারে নিজের ফ্ল্যাটে আত্মঘাতী হন। সুইসাইড নোটে নিজের মৃত্যুর জন্য হরিয়ানার স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তথা এমডিএলআর বিমানসংস্থার মালিক গোপাল কান্ডাকে দায়ী করেছিলেন তিনি। অভিযোগ ওঠে মানসিক নির্যাতনের। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকে কান্ডার ওপর হরিয়ানা মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দেওয়ার জন্য চাপ বাড়ছিল। স্বরাষ্ট্র দফতর ছাড়া নগরোন্নয়ন এবং শিল্প-বাণিজ্য দফতরের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন তিনি। কিন্তু ৭ অগাস্ট মিডিয়ায় গীতিকার সুইসাইড নোট প্রচারিত হওয়ার পরই নিজের ইস্তফাপত্র মুখ্যমন্ত্রী ভুপিন্দর সিং হুডার কাছে কাছে পাঠিয়ে দেন কান্ডা।
গত ৯ অগাস্ট দিল্লির সেশন কোর্ট কাণ্ডার আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করেছিল। শুক্রবার গোপাল কান্ডার আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয় দিল্লি হাইকোর্ট। তারপরই আত্মসমর্পণের সিদ্ধান্ত নেন করেন হরিয়ানার এই প্রাক্তন মন্ত্রী। তিনি তদন্তের কাজে সহযোগিতা করতে চান বলে জানিয়েছেন গোপাল কাণ্ডা। ইতিমধ্যেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিস। সুইসাইড নোটে গোপাল কাণ্ডাকে তাঁর মৃত্যুর জন্য দায়ী করেছিলেন গীতিকা শর্মা। অনুমান ওই ঘটনায় তথ্য-প্রমাণ নষ্ট করার অভিযোগ আনা হতে পারে কান্ডার বিরুদ্ধে। প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালে গোপাল কান্ডার গাড়ি থেকে ৪ জন কুখ্যাত দুষ্কৃতীকে আটক করেছিল দিল্লি পুলিস। সে সময় ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লোকদল(আইএনএলডি)-এর নেতা ছিলেন কান্ডা। ২০০৯ সালের বিধানসভা ভোটে আইএনএলডি সুপ্রিমো ওমপ্রকাশ চৌতালা তাঁকে টিকিট না দেওয়ায় নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়ে জয়ী হন কান্ডা। পরে সুতোর সংখ্যাগরিষ্ঠতায় গঠিত ভুপিন্দর সিং হুডার সরকারকে সমর্থন জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী হন তিনি।