নিজস্ব প্রতিবেদন: ২০০৫ সালে অযোধ্যায় সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনায় সাজা ঘোষণা করল উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের বিশেষ আদালত। মঙ্গলবার চারজন দোষীকে ওই আদালত যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে। একজনকে বেকসুর খালাস করা দেওয়া হয়েছে।
২০০৫ সালের ৫ জুলাই ওই সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়। হামলায় দু’জন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়। মারা যায় পাঁচজন জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গিও। তদন্তে নেমে উত্তরপ্রদেশ পুলিস পাঁচজনকে গ্রেফতার করে।
আরও পড়ুন: শপিং মলে বিক্রি হবে পেট্রল-ডিজেল, সিদ্ধান্তের পথে কেন্দ্র
তাদের নাম ইরফান, আসিফ ইকবাল ওরফে ফারুক, শাকিল আহমেদ, মহম্মদ নাসিম ও মহম্মদ আজিজ। এদিন প্রয়াগরাজের বিশেষ আদালতের বিচারক দীনেশ চন্দ্র সাজা ঘোষণা করেন। ১৪ বছর ধরে এই মামলার শুনানি চলেছে। ৬৩ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন এই মামলায়।
তবে অভিযুক্তদের আদালতে আনা হয়নি নিরাপত্তার কারণে। তারা এদিন প্রয়াগরাজের নলিনি কেন্দ্রীয় কারাগারে থেকেই সাজা শুনেছে। মহম্মদ নাসিমকে বিচারক বেকসুর খালাস দিয়েছেন। আর বাকিদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: বন্দেমাতরম ইসলাম বিরোধী, বিতর্কিত মন্তব্য সমাজবাদী পার্টির সাংসদের
অযোধ্যায় রামজন্মভূমি ও বাবরি মসজিদের বিতর্কিত এলাকায় সেদিন ঢুকে পড়ে জঙ্গিরা। সেখানে অস্থায়ী রামজন্মভূমিতে জঙ্গিরা ঢুকে পড়েছিল। সেখানে প্রথমে তারা গ্রেনেড ছোড়ে। এর পর মাতা সীতা কি রসোই (সীতার রান্নাঘর)-এও ঢুকে পড়ে জঙ্গিরা। সেখানে তারা এলোপাথারি গুলি চালায়।
ততক্ষণে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় নিরাপত্তাবাহিনী। জঙ্গিদের সঙ্গে নিরাপত্তাবাহিনীর গুলির লড়াই চলে প্রায় দু’ঘণ্টা। আর তাতে পাঁচ জঙ্গি নিহত হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক ভাবে প্রাণ হারান দু’জন সাধারণ নাগরিক।
আরও পড়ুন: মোদীর বৈঠকে যোগ দেওয়ার আগে কংগ্রেসের অন্দরে আলোচনা
তদন্তে উঠে আসে যে ইরফান এই হামলার মূলচক্রী ছিল। সে দিল্লিতে একটি ক্লিনিক চালায়। সেখানেই জঙ্গিরা তার সঙ্গে দেখা করতে আসত। তার মোবাইল ব্যবহার করেই জঙ্গিরা একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত। জঙ্গিদের থাকার ব্যবস্থাও সে করত।
অযোধ্যায় জঙ্গি হামলায় চারজনের যাবজ্জীবন, একজন নির্দোষ