ভারতের মঙ্গলায়নের ক্যামেরায় তোলা লালগ্রহের প্রথম ছবি পৌঁছল পৃথিবীর বুকে
মঙ্গলের কক্ষপথ ছোঁয়ার পরের দিনই 'মার্স কালার ক্যামেরা' ব্যবহার করে লালগ্রহের প্রথম ছবি পাঠাল ইসরোর মঙ্গলযান। মঙ্গলের লাল মাটির অপূর্ব ছবি পোস্ট করা হয়েছে ইসরোর অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে।
ওয়েব ডেস্ক: মঙ্গলের কক্ষপথ ছোঁয়ার পরের দিনই 'মার্স কালার ক্যামেরা' ব্যবহার করে লালগ্রহের প্রথম ছবি পাঠাল ইসরোর মঙ্গলযান। মঙ্গলের লাল মাটির অপূর্ব ছবি পোস্ট করা হয়েছে ইসরোর অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে।
1st image of Mars, from a height of 7300 km; with 376m spatial resolution. MT @MarsOrbiter The view is nice up here. pic.twitter.com/RbqmnSyyFp
— ISRO (@isro) September 25, 2014
গত কয়েক বছর ধরে সাড়া বিশ্বজুড়ে বহু দেশ মঙ্গলগ্রহ যাত্রায় কোমর বেঁধে উঠে পড়ে লেগেছে। মঙ্গলের বুকে বৈজ্ঞানিক গবেষণা চালানোর সঙ্গে সঙ্গেই, লালগ্রহে মানুষের বস্তি গড়ে তোলার কল্পবিজ্ঞানের ইচ্ছাটাকে বাস্তবে রূপান্তরিত করার লক্ষ্য জন্ম নিয়েছে পৃথিবীর আনাচে কানাচে।
এতদীন পর্যন্ত মাত্র তিনটি দেশ মানুষ বিহীন মঙ্গল অভিযানে সাফল্য পেয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, প্রাক্তন সোভিয়েত ইউনিয়ন ও ১৭ সদস্যের ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি মঙ্গল মিসন সম্পূর্ণ করতে পেরেছে। এই এলিট ক্লাবে চতুর্থ দেশ হিসেবে ঢুকে পড়ল ভারতের নাম। ২৪ সেপ্টেম্বর নয় মাসের যাত্রা শেষে ইসরোর মঙ্গলযান 'মার্স অরবাইটার মিসন' প্রবেশ করল মঙ্গলের কক্ষপথে। এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে ভারত প্রত্যক্ষ করল এই সাফল্য।
এর আগে জাপানের মঙ্গল অভিযান ১৯৯৮ সালে ব্যর্থ হয়েছিল। রাশিয়ান রকেটের জেরে ২০১১ সালে সাফল্যের খুব কাছে গিয়েও শেষ পর্যন্ত আশা পূরণ হয়নি চিনের। সংযুক্ত আরব আমিরশাহী ২০১১ সাল থেকে মঙ্গলঅভিযানের প্রস্তুতি নিলেও এখনও তা বাস্তবের মুখ দেখেনি।
ভারতের মঙ্গলযান 'MOM' এর লক্ষ্য লাল গ্রহে মিথেনের উপস্থিতির খোঁজ। এর সঙ্গেই পৃথিবী সদৃশ এই গ্রহে কোনওদিন প্রাণের উপস্থিতি ছিল কী না তা নিয়েও কাজ চালাবে এই মহাকাশ যান।
২০১২ সাল থেকে লালগ্রহের বুকে বাসা বেঁধেছে নাসা-র মঙ্গলযান কিউরিওসিটি। কিউরিওসিটির পাঠানো তথ্য অনুযায়ী মঙ্গলের পরিবেশ একদা প্রাণের অনুকূল ছিল। কিন্তু মঙ্গলে মিথেনের উপস্থিতি প্রায় নাকোচ করেছে কিউরিওসিটি। যদিও এই থিওরি মানতে নারাজ ইসরোর। আর তাই এবার মিথেনের সন্ধানে কাজ চালিয়ে যাবে 'MOM'।