কৃষকদের Chakka Jam-এ বাড়ছে উত্তেজনা, অবরুদ্ধ দিল্লির Shahjahanpur সীমান্ত
৩ নয়া কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে আজ, দেশব্যাপী Chakka Jam-এর ডাক দিয়েছে কৃষকরা। আজ দুপুর বারোটা থেকে তিনটে পর্যন্ত চাক্কা জাম-এর ডাক দিয়েছে একাধিক কৃষক সংগঠন
নিজস্ব প্রতিবেদন: সকালে থেকেই প্রহর গুণছিল দিল্লি পুলিস। আন্দোলনকারী কৃষকদের চাক্কা জ্যাম কর্মসূচিকে ঘিরে কোনও অশান্তি হলে তা কীভাবে মোকাবিলা করা হবে তার জন্য এলাহি ব্যবস্থা করেছে পুলিস। এর মধ্যেই দিল্লি-রাজস্থান হাইওয়ের শাহজাহানপুর সীমান্ত অবরোধ করল কৃষকরা। রাস্তা আটকানো হল পালওয়ালও।
গণতন্ত্র দিবসে কৃষকদের ট্রাক্টর মিছিলে অশান্তির পর আর কোনও ঝুঁকি নিতে রাজী নয় দিল্লি পুলিস। আজ আন্দোলনকারী কৃষকদের চাক্কা জ্যাম(Chakka Jaam) উপলক্ষ্যে নজিরবিহীন নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। দিল্লি সীমান্ত দিয়ে যাতে কোনও আন্দোলনকারী ঢুকতে না পারে তার জন্যে মোতায়েন করা হয়েছে ৫০,০০০ পুলিস কর্মী, জলকামান, দোওয়া হয়েছে কাঁটাকাদের বেড়া,মাটি খুঁড়ে সেখানে লোকহার শিক পুঁতে কৃষকদের গাড়ি আচকানোর চেষ্টা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-আজ অধিকারীদের গড়ে অভিষেক বন্দোপাধ্যায়, কাঁথির সভা ঘিরে উত্তেজনা তুঙ্গে
গত ২৬ জানুয়ারি লাল কেল্লায় প্রবল বিশৃঙ্খলা করেছিল কৃষকরা। আজ সেখান জড়ো করা হয়েছে শয়ে শয়ে পুলিস। সেন্ট্রাল দিল্লি সহ দিল্লি মেট্রোর ১০ স্টেশন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রাজধানীর প্রতিটি ক্রসিংয়ে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিস ও সেন্ট্রাল ফোর্স। পরিস্থিতি সামল দিতে তৈরি রাখা হয়েছে ক্রেন, জল কামান।
সিঙ্ঘু সীমান্তে খাড়া করা হয়েছে ৭ বলয়ের নিরাপত্তা বেষ্টনী। প্রথমে কংক্রিটের দেওয়াল, তার পরে ব্যারিকেড, কাঁটাতারের বেড়া। গাজিপুর সীমান্তে আরও কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে দেওয়া হয়েছে ১৩ স্তরের ব্যরিকেড। ধীরে ধীরে সেখানে বাড়ানো হচ্ছে পুলিস। উত্তেজনা বাড়ছে অধিকাংশ সীমান্তেই।
উল্লেখ্য, ৩ নয়া কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে আজ, দেশব্যাপী Chakka Jam-এর ডাক দিয়েছে কৃষকরা। আজ দুপুর বারোটা থেকে তিনটে পর্যন্ত চাক্কা জাম-এর ডাক দিয়েছে একাধিক কৃষক সংগঠন। কৃষকদের ডাকে ফের অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে দিল্লি পুলিস।
আরও পড়ুন-'নিজের বাড়ির ফসলের রান্নাই খাওয়াব নাড্ডাজিকে,' সাহাপুরে সহভোজের বিপুল আয়োজন
বিক্ষোভের কেন্দ্রস্থলে Internet পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। Delhi-NCR-এর বিভিন্ন জায়গায় পুলিস ও সিআরপিএফ মোতায়েন করা হয়েছে। কৃষক আন্দোলন (Farmer's Protest) ঘিরে আবার কোনও রকম অস্বাভাবিক পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয় সেদিকে কড়া নজর রেখেছে কেন্দ্র। Delhi Police, Paramilitary ও Reserve Force-এর ৫০ হাজার কর্মী দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন। মোট ১২টি মেট্রো স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় হাই-অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। ওইসব মেট্রো স্টেশনের প্রতিটি গেটে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে বলে জানিয়েছে দিল্লি পুলিস।