'ওদের বাবাও আমাকে গ্রেফতার করতে পারবে না', অ্যালোপ্যাথি বিতর্কের মধ্যেই ফের বিস্ফোরক Ramdev

রামদেবের ওই মন্তব্যের পরই তাঁকে ওই মন্তব্যের ক্ষমা চাইতে বলে আইনি নোটিস পাঠায় ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন।

Updated By: May 27, 2021, 06:52 PM IST
'ওদের বাবাও আমাকে গ্রেফতার করতে পারবে না', অ্যালোপ্যাথি বিতর্কের মধ্যেই ফের বিস্ফোরক Ramdev

নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনার থেকে অ্যলোপ্যাথি চিকিত্সায় বেশি লোক মরেছে বলে ইতিমধ্যেই তুমুল বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন যোগগুরু রামদেব। এনিয়ে তাঁকে আইনি নোটিসও পাঠিয়েছে চিকিত্সকদের সংগঠন। জল গড়িয়েছে প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী পর্যন্ত। সোস্যাল মিডিয়ায় তাঁর গ্রেফতারের দাবিও উঠছে। এরমধ্যেই ফের বেফাঁস মন্তব্য।

বৃহস্পতিবার প্রকাশ্যে এসেছে রামদেবের একটি ভিডিয়ো। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর গ্রেফতারির দাবিতে হ্যাশট্যাগ চলা নিয়ে রামদেব মন্তব্য করেছেন, 'ওরা তো দূরের কথা ওদের বাপও স্বামী রামদেবকে গ্রেফতার করতে পারবে না। ওরা বেকার গোলমাল করছে। শুধুমাত্র Thug Ramdev, Mahathug Ramdev, Giraftar Ramdev এর মতো হ্যাশট্যাগই চালাতে পারে ওরা।' উল্লেখ্য, ওই ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি জি ২৪ ঘণ্টা।

আরও পড়ুন-Yaas-এ ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ৩ জুন থেকে শুরু 'দুয়ারে ত্রাণ' পরিষেবা: Mamata

উল্লেখ্য, সম্প্রতি অ্যালোপ্যাথি চিকিত্সা পদ্ধতি ও ওষুধকে স্টুপিড বলে মন্তব্য করেন রামদেব(Ramdev)। এক অনুষ্ঠানে তিনি দাবি করেন, দেশে করোনায় যত লোক মারা গিয়েছে তার থেকেও বেশি লোক মরেছে অ্যালোপ্যাথি চিকিত্সায় ও ওষুধে। চিকিত্সার নামে তামাশা চলে।  

রামদেবের ওই মন্তব্যের পরই তাঁকে ওই মন্তব্যের ক্ষমা চাইতে বলে আইনি নোটিস পাঠায় ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। পাশাপাশি তাঁর কাছে হাজার কোটি টাকা ক্ষতিপূরণে দাবিও করা হয়। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধনের কাছেও রামদেবের বিরুদ্ধে দরবার করে চিকিত্সক সংগঠন। হর্ষবর্ধন রামদেবকে ওই মন্তব্যের জন্য ক্ষমাও চাইতে বলে চিঠি লেখেন।  

আরও পড়ুন-করোনার উৎস জানতে এবার গোয়েন্দাদের নির্দেশ বাইডেনের  

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর চিঠি পেয়ে শেষপর্যন্ত ক্ষমাও চান যোগগুরু। পাশাপাশি তিনি একটি টুইটে লেখেন, 'মাননীয় হর্ষবর্ধনবাবু, আপনার চিঠি আমি পেয়েছি। আপনার অনুরোধকে মান্যতা দিয়েই আমি আমার সমস্ত মন্তব্য ফিরিয়ে নিচ্ছি।' হর্ষবর্ধনকে(Harshvardhan) একটি চিঠিও দেন তিনি। হিন্দিতে চিঠিতে লেখেন,'আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞান এবং অ্যালোপ্যাথির বিরোধিতা আমরা করি না। রোগীকে মৃত্যুর মুখ থেকে বাঁচাতে, সার্জারিতে অনেক দিশা দেখিয়েছে অ্যালোপ্যাথি। আমার কথোপকথন আসলে ভলান্টিয়ার্সদের সঙ্গে এক বৈঠকে হোয়াট্সঅ্যাপ মেসেজের অংশ। কারও ব্যক্তিগত আঘাত লাগলে আমি দুঃখিত।'

.