বাবরি মসজিদ ভেঙেছি, ওখানেই তৈরি হবে রামমন্দির, ফের প্রজ্ঞার বিতর্কিত মন্তব্যে নোটিস কমিশনের
২৬/১১ জঙ্গি হামলায় মুম্বইয়ের এটিএস প্রধান হেমন্ত কারকারের দুঃসাহসিক আত্মত্যাগ দেশবাসীর আবেগের সঙ্গে জড়িত রয়েছে। তাঁকে মরণোত্তর অশোকচক্র সম্মান দেওয়া হয়
নিজস্ব প্রতিবেদন: নির্বাচন কমিশনের তরফে আবারও একটি নোটিস পেলেন বিজেপি প্রার্থী প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর। এ বার বাবরি মসজিদ ধ্বংস নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে। একটি টেলভিশন চ্যানেলের সাক্ষাত্কারে সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর বলেন, বাবরি মসজিদ ধ্বংসে কেন অনুশোচনা হবে? উলটে গর্ব অনুভব করি।
তিনি স্পষ্ট করে এ দিন বলেন, অযোধ্যায় গিয়ে মসজিদ ধ্বংস করেছি। রামমন্দির তৈরির সাহায্যে ফের ওখানে যাব। কেউ আটকাতে পারবে না। ভোটের মুখে তাঁর এই মন্তব্যে নির্বাচনী আচারণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে প্রজ্ঞাকে নোটিস জারি করে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের তরফে বলা হয়েছে, প্রজ্ঞার মন্তব্যে বিশেষ ধর্মীয় সম্প্রদায়, জাতির ভাবাবেগে আঘাত লাগতে পারে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁর জবাব তলব করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, দু’দিন আগে ২৬/১১ হামলায় শহিদ হেমন্ত কারকারেকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে কমিশনের রোষের মুখে পড়তে হয় প্রজ্ঞাকে। তিনি অভিযোগ করেন, তাঁর অভিসম্পাতেই মৃত্যু হয়েছে সন্ত্রাস দমন স্কোয়াডের প্রধান কারকারের। ২০০৬ মালেগাঁও বিস্ফোরণে অভিযুক্ত প্রজ্ঞার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছিলেন হেমন্ত কারকারে। প্রজ্ঞার অভিযোগ, কারকারের নির্দেশেই নির্মমভাবে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করা হয় তাঁকে। এরপরই কারকারের মৃত্যু কামনা করে অভিশাপ দিয়েছিলেন বলে দাবি প্রজ্ঞার।
আরও পড়ুন- কলম্বো বিস্ফোরণের পরিস্থিতি উপর নজর রাখছে ভারতের বিদেশমন্ত্রক, চালু করা হল আপত্কালীন ফোন নম্বর
২৬/১১ জঙ্গি হামলায় মুম্বইয়ের এটিএস প্রধান হেমন্ত কারকারের দুঃসাহসিক আত্মত্যাগ দেশবাসীর আবেগের সঙ্গে জড়িত রয়েছে। তাঁকে মরণোত্তর অশোকচক্র সম্মান দেওয়া হয়। তাই, প্রজ্ঞার এমন মন্তব্যের জেরে সমালোচনার ঝড় ওঠে দেশজুড়ে। প্রজ্ঞার মন্তব্যের ব্যাখ্যা তলব করে নোটিস জারি করে নির্বাচন কমিশন। যদিও, বিজেপিকে সে ভাবে সমালোচনা করতে দেখা যায়নি। বিজেপি তরফে জানানো হয়, হেমন্ত কারকারের দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন। তাঁকে শহিদ হিসাবে সম্মান করে বিজেপি। প্রজ্ঞার মন্তব্য ব্যক্তিগত। তিনি যে পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন, সেই ভাবনা থেকেই এই মন্তব্য বলে দাবি বিজেপির। সমালোচনার পথে না গিয়ে খোদ নরেন্দ্র মোদী ২০০৮ সালে বাটলা হাউস অভিযানের পাল্টা প্রসঙ্গ টানানে। ওই অভিযান মৃত্যু হয়েছিল দিল্লি পুলিসের স্পেশ্যাল সেলের ইনস্পেক্টর মোহনচাঁদ শর্মা। দিগ্বিজয় সিং-সহ বিরোধীদের একাধিক নেতা দিল্লি পুলিসের পদক্ষেপ নিয়ে সমালোচনা করে।