এক মাসের বেশি জেলে, হেফাজতে পেতে শেষমেশ চিদম্বরমকে গ্রেফতার ইডির
মঙ্গলবার চিদম্বরমকে হেফাজতে নিতে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে দু'দুটি আবেদন করে ইডি। এক, তাঁকে গ্রেফতার, দুই, নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার
নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম বরাবরই আদালতে আর্জি জানিয়েছিলেন, তাঁকে ইডি হেফাজতে নিক। প্রায় ৪২ দিনের মাথায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিহাড় জেল থেকে চিদম্বরমকে গ্রেফতার করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। গত ৫ সেপ্টেম্বর থেকে তিহাড় জেলে রয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার চিদম্বরমকে হেফাজতে নিতে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে দু'দুটি আবেদন করে ইডি। এক, তাঁকে গ্রেফতার, দুই, নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার। এ দিন আদালত চিদম্বরমের ‘মর্যাদার’ কথা মাথায় রেখে তদন্তকারীদের পাল্টা দুটি পরামর্শ দেয়। চিদম্বরমকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক আদালত চত্বরেই এবং তার মধ্যে তাঁকে হেফাজতে নিতে আবেদন করুক তদন্তকারীরা। অন্যটি হল, এই মুহূর্তে চিদম্বরমকে জেল হেফাজতে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সেখান থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করতে পারেন তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন- অনেক হয়েছে; আজ পাঁচটায় শেষ হবে অযোধ্যা মামলার শুনানি, মন্তব্য প্রধান বিচারপতির
দ্বিতীয় পরামর্শ মেনেই আজ চিদম্বরমকে গ্রেফতার করে ইডি। তাঁকে হেফাজতে নিতে আজই সিবিআই আদলতে আবেদন জানাবে ইডি। তার শুনানি হবে আগামিকাল। সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে প্রশ্ন তোলেন চিদম্বরমের আইনজীবী কপিল সিব্বল। শুধুমাত্র চিদম্বরমকে ‘হেনস্তা’ করতেই জেল হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। পরিকল্পনা করে ৬০ দিন জেলের রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কপিল সিব্বলের দাবি, ইডির কাছে আত্মসমর্পণ অনেক আগেই করতে চেয়েছিলেন পি চিদম্বরম।