Dr Subash Chandra: মুক্ত সংবাদমাধ্যমের পক্ষে সরব ড. সুভাষ চন্দ্র, চোখ রাখুন জি ২৪ ঘণ্টার পর্দায়
Dr Subash Chandra: সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে গত ৩ মে একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন ড. সুভাষ চন্দ্র। ভিডিয়োটি ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে সুভাষ চন্দ্র বলেন, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার নীরিখে দুনিয়ার ১৮০টি দেশের মধ্যে ভারতের স্থান ১৫৯তম জায়গায়
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা গণতন্ত্রের একটি বড় বিষয়। কোথায় বাক স্বাধীনতার সীমানা কতটা সেটা দেখে একটি গণতন্ত্রের অনকেটা আন্দাজ করা যায়। কিন্তু বর্তমান সময়ে একটা কথা চালু হয়ে গিয়েছে গোদি মিডিয়া বা সরকারের ভজনাকারী সংবাদমাধ্যম। সেই জায়গা থেকে বেরিয়ে বারে বারেই সরব হয়েছেন জি মিডিয়ায় চেয়ারম্যান ড. সুভাষ চন্দ্র। সম্প্রতি জি নিউজকে নিষিদ্ধ করে পঞ্জাব সরকার। অগণতান্ত্রিক ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেও সরব হন ড. সুভাষ চন্দ্র।
আরও পড়ুন- বাংলায় বিজেপির ঝুলিতে ক'টি আসন? 'হিসেব' দিলেন তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু!
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা, খবরের আঙিনায় বিপ্লব, ভারতে সংবাদ পরিবেশনের সুবিধা নিয়ে একটি আলোচনা সভায় যোগ দেবেন ড. সুভাষ চন্দ্র। হবে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথাও। আগামিকাল বেলা ১২টা থেকে ওই আলোচনাসভটি অনুষ্ঠিত হবে দিল্লিতে। অনুষ্ঠানটি লাইভ সম্প্রচারিত হবে জি ২৪ ঘণ্টাতেও। ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন জি মিডিয়া করপোরেশন লিমিটেডের ১৫ সম্পাদক। এক মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই রয়েছে জি ২৪ ঘণ্টাও। ওই অনুষ্ঠানের নাম দেওয়া হয়েছে 'মিডিয়া মিট প্রেস কন্ফারেন্স'।
উল্লেখ্য, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে গত ৩ মে একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন ড. সুভাষ চন্দ্র। ভিডিয়োটি ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে সুভাষ চন্দ্র বলেন, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার নীরিখে দুনিয়ার ১৮০টি দেশের মধ্যে ভারতের স্থান ১৫৯তম জায়গায়। ১৯৯১ সালে স্যাটেলাইট চ্যানেল শুরু করেছিলাম। এখন এটি একটি ইন্ডাস্ট্রি। আজ ভারতের প্রায় ৫০০ প্রাইভেট টিভি চ্যানেল রয়েছে। প্রায় ৮ লাখ লোক এক সঙ্গে জড়িত। পরক্ষভাবে এই সংখ্যা ১৭ থেকে ২০ লাখ লোক এর থেকে লাভবান হন। ১৯৯১ সালে আমি সম্প্রচার মন্ত্রকের সচিবের সঙ্গে দেখা করে একথা বললে উনি রেগে যান এবং বলেন তাঁর মৃতদেহের উপর দিয়েই তা করতে হবে। আমাকে জেল দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। আমি বলে এসেছিলাম আমি তা করবই। ৩৩ বছর বাদ প্রায় সেইরকমই মনে হচ্ছে। এটুকু বলব জি নেটওয়ার্কের ১০ বিদেশি ভাষা-সহ রোজ ১৫০ কোটি মানুষ দেখেন। এর অর্থ কী তা পরে আপনাদের বলব।
এদিকে, গত ২৮ মে জি নেটওয়ার্কের জি নিউজ চ্যানেলের সম্প্রচার রাজ্যে বন্ধ করে দেয় পঞ্জাব সরকার। এনিয়ে আগে থেকে কোনও সতর্কবাণী জি-কে দেওয়া হয়নি। তবে খবর রটে যায় যে জি নেটওয়ার্কের হিন্দি, ইংরেজি, পঞ্জাবি সব চ্যানেল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে তা ঠিক নয়। জি নিউজ ছাড়া জি-র অন্য সব চ্য়ানেল চালু ছিল পঞ্জাবে। প্রসঙ্গত, জি মিডিয়া করপোরেশন লিমিটেড ১৪টি টিভি চ্যানেল, ৫ ডিজিটাল নিউজ চ্যানেল, ৭ নিউজ অ্যাপ ও ৩২ ডিজিটাল প্রপার্টি চালায়।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)