ধামারঘাটায় ট্রেনের ধাক্কায় পূণ্যার্থীদের মৃত্যু, দায় নিয়ে এখনও চলছে চাপানউতোর
বিহারের ধামারাঘাট স্টেশনে ট্রেনের ধাক্কায় ৩৭জনের মৃত্যুর দায় কার? দুর্ঘটনার দুদিন পরও এনিয়ে চাপানউতোর অব্যাহত। রেল দূষছে স্থানীয় প্রশাসনকে। আর প্রশাসনের অভিযোগ, গাফিলতি রেল কর্তৃপক্ষের। ওই লাইনে ট্রেন চলাচল এখনও স্বাভাবিক হয়নি। আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত রেললাইন পরীক্ষার জন্য আজ সমস্তিপুর থেকে ঘটনাস্থলে পৌঁছচ্ছে রেলের বিশেষ দল।
বিহারের ধামারাঘাট স্টেশনে ট্রেনের ধাক্কায় ৩৭জনের মৃত্যুর দায় কার? দুর্ঘটনার দুদিন পরও এনিয়ে চাপানউতোর অব্যাহত। রেল দূষছে স্থানীয় প্রশাসনকে। আর প্রশাসনের অভিযোগ, গাফিলতি রেল কর্তৃপক্ষের। ওই লাইনে ট্রেন চলাচল এখনও স্বাভাবিক হয়নি। আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত রেললাইন পরীক্ষার জন্য আজ সমস্তিপুর থেকে ঘটনাস্থলে পৌঁছচ্ছে রেলের বিশেষ দল।
দুর্ঘটনার পর বিহারের ধামারাঘাট স্টেশনে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে প্রথম বোমাটা ফাটালেন রেলপ্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরীই। দুর্ঘটনার দায় চাপালেন বিহার সরকারের কাঁধে।
উঠে এসেছে রেল এবং স্থানীয় প্রশাসনের মধ্যে সমণ্বয়ের অভাবের অভিযোগ।
দুর্ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের ঘটনাস্থলে না যাওয়া নিয়েও জলঘোলা শুরু হয়েছে। রাজ্য সরকার দ্রুত পরিস্থিতি আয়ত্ত্বে না আনার কারণেই তা ওইদিন এতটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। উত্তেজিত জনতা ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দেওয়ায় রেলের প্রায় ৯০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে রেলসূত্রে খবর।
মঙ্গলবারই ঘাতক রাজ্যরানী এক্সপ্রেস সহ আরেকটি প্যাসেঞ্জার ট্রেন লাইনের ওপর থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। তৃতীয় লাইনে থাকা ট্রেনটিও রাতের মধ্যে সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ জানতে রেলের তরফে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। নিহতদের পরিবার পিছু পাঁচ লক্ষ টাকা এবং গুরুতর আহতদের প্রত্যেককে এক লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে রেল। বিহার সরকারের তরফে নিহতদের পরিবারপিছু দেওয়া হচ্ছে দু`লক্ষ টাকা।
এদিকে জনতার মারে জখম ঘাতক ট্রেনটির চালকের অবস্থার উন্নতি হচ্ছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। পাটনায় তাঁর চিকিত্সা চলছে। আহতদের অনেকেই এখনও হাসপাতালে চিকিত্সাধীন। খাগারিয়া, সহরসা, মাধেপুরা সহ বিভিন্ন এলাকার হাসপাতালে তাঁরা ভর্তি।
রেলসূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার থেকে ফের চলবে রাজ্যরানী এক্সপ্রেস। পুড়ে যাওয়া রেকগুলির বদলে বুধবারই আনা হচ্ছে নতুন রেক।