'বিরোধীরা চায় সংসদ চলুক, সরকার বাধা দিচ্ছে', টুইটে তোপ Derek-এর
'আলোচনা হোক কৃষি আইন, Pegasus নিয়ে', দাবি জানালেন Derek।
নিজস্ব প্রতিবেদন: শুরুর প্রথম দিন থেকেই এবার উত্তপ্ত সংসদের বাদল অধিবেশন। বিভিন্ন ইস্য়ুতে সরকারের বিরুদ্ধে সরব বিরোধীরা। বারবার মুলতুবি হয়েছে অধিবেশন। সংসদের ভিতরে-বাইরে বিক্ষোভের আঁচ তুঙ্গে। এই পরিস্থিতিতে বিরোধীদের তোপ দেগেছেন প্রধানমন্ত্রী। বিরোধীরা সংসদ অচল করতে চাইছে। তাঁরা সংসদের অপমান করছেন। অভিযোগ করেছেন নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। তাঁর সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে পাল্টা টুইটে কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন (Derek O'Brien)। স্পষ্ট ভাষায় জানালেন বিরোধীদের দাবিদাওয়া।
টুইটে ডেরেক ও'ব্রায়েন (Derek O'Brien) লেখেন, 'বিরোধীরা চায় সংসদ চলুক। কিন্তু সরকার ক্রমাগত বাধা দিচ্ছে'। বিরোধীদের কী দাবি? টুইটে তাও জানান তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ। তিনি লেখেন, কৃষি আইন প্রত্যাহার, মূল্যবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান, আর্থিক মন্দা, Pegasus এই সমস্ত ইস্য়ুতে আলোচনা চায় বিরোধীরা। মঙ্গলবার বিরোধীদের একহাত নেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শান্তনু সেনের কাগজ কেড়ে নেওয়া থেকে শুরু করে, ডেরেক ও'ব্রায়েনের 'পাপড়ি চাট' মন্তব্য, সমস্ত ইস্য়ুতে প্রধানমন্ত্রীর নিশানায় বিরোধীরা।
CENSORSHIP.
Modi-Shah ‘masterstroke’. @rajyasabhatv showing selective footage/online edit. All protests in the House by about 100 MPs from 15 Opposition parties not being telecast. #Pegasus hacking, espionage, military spyware.
— Derek O'Brien | ডেরেক ও'ব্রায়েন (@derekobrienmp) July 28, 2021
আরও পড়ুন: ফের সক্রিয় Kailash, হাজির হলেন বঙ্গ BJP-র বৈঠকে, রাজ্যে ৩ যাত্রার সিদ্ধান্ত
আরও পড়ুন: Coronavirus: আশঙ্কা বাড়িয়ে দেশের ৮ রাজ্যে বাড়ছে R-Factor, সতর্ক করল কেন্দ্র
মঙ্গলবার বিজেপি সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে বিরোধীদের বিক্ষোভ নিয়ে নরেন্দ্র মোদী বলেন, 'এটা সংবিধানের অবমাননা, গণতন্ত্রের অবমাননা এবং সাধারণ মানুষের অবমাননা। বিরোধীরা তাঁদের ব্যবহারে সংসদের উভয় কক্ষকেই অসম্মানিত করেছেন। কেউ কাগজ কেড়ে ছিঁড়ে ফেলছেন, কিন্তু নিজের কৃতকর্মের জন্য তাঁর একটুও লজ্জিত নন'। এই মন্তব্যের দ্বারা তৃণমূল সাংসদ শান্তনু মিত্রকে নিশানা করেন মোদী। Prgasus ইস্য়ুতে রাজ্যসভায় বিবৃতি দেওয়ার সময় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বিষ্ণুর হাত থেকে কাগজ কেড়ে নেন শান্তনু সেন। কাগজ ছিঁড়ে ফেলে দেন। শাস্তি স্বরূপ গোটা বাদল অধিবেশনে তাঁকে বরখাস্ত করেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ড়ু।