দিল্লি জ্বলছে তখনও 'পার্টটাইম রাজনীতিক' রাহুল, পোয়াবারো মোদী-শাহের
CAA বিরোধী মিছিলে যোগ দেননি। জামিয়া মিলিয়া ও JNU-তে দেখা মেলেনি। শাহিনবাগেও নেই।
নিজস্ব প্রতিবেদন: দিল্লিতে শান্তি ফেরানোর দাবিতে রাষ্ট্রপতি ভবনে তদ্বির করলেন সনিয়া গান্ধী-সহ কংগ্রেস নেতারা। কিন্তু রাহুল গান্ধীর অনুপস্থিতি নজর এড়াল না। বুধবার কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকেও ছিলেন না প্রাক্তন সভাপতি। ফলে একবার তাঁর রাজনৈতিক আগ্রহ নিয়ে উঠে গিয়েছে প্রশ্ন। সত্যিই কি 'পার্টটাইম রাজনীতিক' রাহুল গান্ধী?
CAA বিরোধী মিছিলে যোগ দেননি। জামিয়া মিলিয়া ও JNU-তে দেখা মেলেনি। শাহিনবাগেও নেই রাহুল গান্ধী। দেশ যখন মোদী বিরোধী মুখ খুঁজছে তখন আরও একবার দেখা নেই রাহুল গান্ধীর। কংগ্রেস সূত্রের খবর, ছুটি কাটাচ্ছেন সনিয়া-তনয়। অধিকাংশ সময়েই বিদেশযাত্রায় ব্যস্ত থেকেছেন রাজীব পুত্র। তাঁর অভিমান কি এখনও ঘোঁচেনি?
অথচ লোকসভা ভোটে ভরাডুবির পর দায়ভার নেতাদের উপরে চাপিয়েছিলেন রাহুল। অভিযোগ করেছিলেন, লোকসভা ভোটে কংগ্রেস নেতারা জান লড়িয়ে প্রচার করেননি। বৃদ্ধ নেতাদের বানপ্রস্থে পাঠিয়ে নেতৃত্বে তরুণ রক্ত আনার উদ্যোগও নিয়েছিলেন। কিন্তু সফল হননি। তারপর থেকেই নাকি অভিমানী রাহুল!
অনেকেই বলেন, রাজনীতি হল সম্বত্সরের কারবার। এখানে ছুটি নেওয়ার অবকাশ নেই। তার উপরে বিরোধী শিবিরের মুখ হলে তো কথাই নেই! দিল্লি যখন হিংসায় জ্বলছে, তখন ছুটিতে রাহুল গান্ধী। প্রশ্ন উঠছে, ছুটি কাটছাঁট করে ফিরেও তো আসা যেত। এর আগেও অবশ্য এমনটা হয়েছে। বিজেপি তো দেগেই দিয়েছে, রাহুল গান্ধী পার্টটাইম রাজনীতিক। সেটাই যেন নিজের কাজে প্রমাণ করে দিচ্ছেন রাজীবপুত্র। তাঁর পার্টটাইম রাজনীতিকের তকমা ঘোচানোর কোনও গরজ নেই। টুইট করেই প্রতিবাদ করছেন। আরও একটা সুবর্ণ সুযোগ হারালেন রাহুল গান্ধী।
আরও পড়ুন- আপ কাউন্সিলর তাহির হুসেনের বিরুদ্ধে খুনের ধারায় FIR, সিল কারখানা