রাতারাতি বদলি করা হল দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতিকে, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৮
একইসঙ্গে বদলি করা হয়েছে দিল্লির পাঁচ আইপিএস অফিসারকেও।
নিজস্ব প্রতিবেদন : রাতারাতি বদলি করে দেওয়া হল দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি এস মুরলিধরকে। পঞ্জাব-হরিয়ানা হাইকোর্টে বদলি করা হল তাঁকে। মঙ্গলবার মাঝ রাতে নিজের বাসভবনে শুনানি ডেকে আহতদের নিরাপদে হাসপাতালে পৌছে দিতে পুলিসকে নির্দেশ দেন তিনি। ঘটনাচক্রে তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই কলেজিয়ামের নির্দেশ মেনে বিচারপতি মুরলিধরকে বদলি করে দিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।
এর জন্য মাঝ রাতে সরকারি বিজ্ঞপ্তিও জারি হয়। একইসঙ্গে বদলি করা হয়েছে দিল্লির পাঁচ আইপিএস অফিসারকেও। গত সপ্তাহেই বিচারপতি মুরলিধরকে পঞ্জাব-হরিয়ানা হাইকোর্টে বদলির সুপারিশ করে সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম। সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে প্রতিবাদও জানায় দিল্লি হাইকোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশন। তবে শেষ পর্যন্ত বদলির সিদ্ধান্ত-ই বলবৎ হল। দিল্লির ঘটনায় শুনানির জেরেই কি তড়িঘড়ি বিচারপতি এস মুরলিধরকে বদলির সিদ্ধান্ত নেওয়া হল? ইতিমধ্যেই সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
এদিকে এখনও উত্তপ্ত দিল্লি। এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২৮। আহত দুশোর বেশি। নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে গোকুলপুরীতে। গতকালই উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অজিত দোভাল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে বুধবার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এলাকা পরিদর্শন শুরু করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা। দুপুরে পৌঁছে যান হিংসাগ্রস্ত মৌজপুরে। অলিগলিতে গিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দিল্লি পুলিসের স্পেশাল কমিশনার (আইনশৃঙ্খলা) এসএন শ্রীবাস্তব।
আরও পড়ুন, ইনশাল্লাহ, শান্তি ফিরে আসবে, অমিতের নির্দেশ মহল্লায় মহল্লায় ঢুঁ মারলেন দোভাল
পরে অজিত দোভাল সাংবাদিকদের বলেন,''প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে এসেছি। পুলিস নিজের কাজ করছে। সাধারণ মানুষ একসঙ্গে থাকতে চান। কোনও শত্রুতা নেই। কয়েকজন দুষ্কৃতী হিংসা ছড়াচ্ছে। তাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। ইনশাল্লাহ শান্তি ফিরে আসবে।''