Swati Maliwal: 'ছোটবেলায় বাবার হাতেই আমার যৌনহেনস্থা ঘটেছিল, রক্তের দাগ এখনও ভুলিনি'! শুনে স্তম্ভিত দেশ...
Swati Maliwal: দিল্লির মহিলা কমিশনের প্রধান স্বাতী মালিওয়াল প্রায় বোম ফাটালেন নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে। আজ,শনিবার তিনি বলে দিলেন তিনি যখন ছোট ছিলেন তখন বাবার হাতেই তাঁর প্রথম যৌন হেনস্থার ঘটনা ঘটেছিল। মহিলা কমিশন আয়োজিত এক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কথাপ্রসঙ্গে এ কথা বলেন তিনি।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: দিল্লির মহিলা কমিশনের প্রধান স্বাতী মালিওয়াল প্রায় বোম ফাটালেন নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে। আজ,শনিবার তিনি বলে দিলেন তিনি যখন ছোট ছিলেন তখন বাবার হাতেই তাঁর প্রথম যৌন হেনস্থার ঘটনা ঘটেছিল। মহিলা কমিশন আয়োজিত এক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কথাপ্রসঙ্গে এ কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: জাপানি মহিলাকে হোলিতে হেনস্থা, নাবালক-সহ ৪ জনকে গ্রেফতার
তিনি বলেন, লড়াই করে এগিয়ে আসা মেয়েদের পুরস্কার দেওয়ার সংবর্ধিত করার এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে তিনি খুবই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ছেন। আর আবেগাপ্লুত অবস্থায় তাঁর নিজের লড়াইয়ের কথাও মনে পড়ে যাচ্ছে। তিনি বলছেন, তাঁর বাবা তাঁকে ছোটবেলায় খুব মারতেন। এত মারতেন যে, তিনি ভয়ে খাটের নীচে লুকিয়ে পড়তেন। কিন্তু তাতেও বাবার হাত থেকে রেহাই মিলত না। বাবা তাঁকে চুলের মুঠি ধরে টেনে বের করে মারতেন, কখনও কখনও তাঁর মাথা দেওয়ালে ঠুকেও দিতেন। এত জোরে ঠুকতেন যে, কখনও কখনও কপাল থেকে রক্তও বেরত!
আরও পড়ুন: Anubrata Mondal: খাবার এল বার্গার, সুগার ফ্রি কফি! ইডি দফতরে কেষ্টর পাতে ডাল-ভাত-আলুপোস্তও
আর সেই সব দিনগুলিতে তিনি মনে মনে চিন্তা করতেন যে, যে করেই হোক বাবার এই বর্বরতার হাত থেকে রেহাই পেতেই হবে তাঁকে। তখনই তিনি মনে-মনে খুব দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়ে উঠছিলেন। সেদিনই তাঁর একক লড়াইটা আসলে শুরু হয়ে গিয়েছিল। ক্লাস ফোর পর্যন্ত তিনি বাবার সঙ্গে থাকতেন।
২০১৫ সালে স্বাতী দিল্লির মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন হন। সেবছরই দিল্লিতে আম আদমি পার্টিও শাসনে আসে। তিনি মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন হওয়ার আগে অরবিন্দ কেজরীবালের উপদেষ্টা ছিলেন। হরিয়ানার আপ প্রধান নবীন জয়হিন্দের সঙ্গে তাঁর বিয়ে। যদিও ২০২০ সালে তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে।
প্রথম থেকে স্বাতী মেয়েদের উপর বঞ্চনা নিয়ে সরব। দিল্লিতে মেয়েদের সঙ্গে ঘটা যে কোনও অন্যায় অবিচার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। সদাসতর্ক নজর রাখেন গোটা পরিস্থিতির উপর। কিন্তু পিছন দিকে তাকালে এখনও মন কেমন করে ওঠে তাঁর। কেননা, তাঁর মনে পড়ে যায়, তাঁরও শুরুটা সুখের ছিল না! ছোটবেলার সেই রক্তের দাগ এখনও ভুলতে পারেননি তিনি!