প্রতিরক্ষা কেলেঙ্কারিতে এগিয়ে ভারত
ভিভিআইপি হেলিকপ্টার কেনায় দুর্নীতির অভিযোগকে ঘিরে তোলপাড় গোটা দেশ। কিন্তু, তথ্য বলছে এই প্রথম নয়। এর আগেও, বেশ কয়েকবার প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বড়সড় দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
ভিভিআইপি হেলিকপ্টার কেনায় দুর্নীতির অভিযোগকে ঘিরে তোলপাড় গোটা দেশ। কিন্তু, তথ্য বলছে এই প্রথম নয়। এর আগেও, বেশ কয়েকবার প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বড়সড় দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
স্বাধীনতার পর থেকেই একাধিক বার প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
১৯৪৮-এ ভি কে কৃষ্ণ মেননের বিরুদ্ধে আর্মি জিপ কেনায় দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগের তদন্ত করে ১৯৫১-এ রিপোর্ট পেশ করে অন্তসায়ানাম আয়েঙ্গার কমিটি। সেই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসেনি। ১৯৫৫-এ মামলাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
১৯৮৭-তে বোফর্স কেলেঙ্কারিতে জড়ায় তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর নাম। ১৯৮৯-এ রিপোর্ট পেশ যৌথ সংসদীয় কমিটির। সিবিআই দীর্ঘদিন তদন্ত করলেও, এফআইআর দায়ের হয়নি। পরে মামলা খারিজ করে দেয় দিল্লি হাইকোর্ট।
আটের দশকে জার্মান সাবমেরিন এইচডিডাব্লিউ কেনাবেচায় দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। ২০০২-এ তদন্ত বন্ধ করে দেয় সিবিআই।
২০০১-এ তহেলকা ডট কমের স্টিং অপারেশনে প্রতিরক্ষা দুর্নীতির পর্দাফাঁস। নাম জড়ায় তত্কালীন বিজেপি সভাপতি বঙ্গারু লক্ষ্মণের। তদন্তের দায়িত্ব নিলেও, সংসদীয় আলোড়নে সরে দাঁড়ান বিচারপতি কুণ্ডুস্বামী ভেঙ্কটস্বামী। সিবিআই তদন্তেও অগ্রগতি হয়নি।
২০০২-এ সালে কফিন কেলেঙ্কারি। নাম জড়ায় তত্কালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জর্জ ফার্নান্ডেজের। যদিও আদালতে দায়ের সিবিআই চার্জশিটে তাঁর নাম ছিল না।
তথ্য বলছে, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বারবার আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠলেও, কোনওক্ষেত্রেই তদন্তে কোনও অগ্রগতি হয়নি।