Sikkim Cloud Burst | Teesta Flash Flood: বিপর্যস্ত সিকিমে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৪, এনজেপিতে আটকে বহু পর্যটক

 Sikkim Cloud Burst | Teesta Flash Flood: তিস্তার বন্যায় জলপাইগুড়িতে ফ্ল্যাড রেস্কিউ এন্ড রিলিফ সেন্টারে আশ্রয় নিয়েছে বহু মানুষ। জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের পাটকাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন রংধামালি বিএফটি স্কুল ও সংলগ্ন পাশে কিছু জায়গায় প্রায় ২৫০ মানুষের ঠাঁই হয়েছে

Updated By: Oct 5, 2023, 07:18 AM IST
Sikkim Cloud Burst | Teesta Flash Flood: বিপর্যস্ত সিকিমে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৪, এনজেপিতে আটকে বহু পর্যটক

নারায়ণ সিংহ রায় ও প্রদ্যুত দাস: সিকিমে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১৪। নিখোঁজ ১০২ এবং আহত ২৬ জন।  নিখোঁজ জওয়ানদের মধ্যে এখনওপর্যন্ত ১ জনের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। সিকিম সরকার ২২টি ত্রাণ শিবির তৈরি করেছে। সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন ২০১১ জন। সিকিমে নিহত ১৪ জনের মধ্যে গ্যাংটকে মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের, মঙ্গনে ৪ জন এবং পাকিয়ংয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ৭ জন। দশ নম্বর জাতীয় সড়কের একাধিক জায়গা ভেঙে গিয়েছে। ফলে যাতায়ত ব্য়বস্থা বিচ্ছিন্ন। সবেমিলিয়ে মেঘভাঙ বৃষ্টি, বাঁধভাঙা হড়পা বানে বিপর্যস্ত সিকিম।

আরও পড়ুন-বিপর্যস্ত সিকিম; মৃত বেড়ে ১০, খোঁজ মিলল নিখোঁজ জওয়ানের

এদিকে সিকিমে গিয়ে আটকে পড়েছেন বহু পর্যটক। আটকে থাকা যাত্রীদের খাওয়ের ব্যাবস্থা করেছে রেল পুলিস। সিকিমে তিস্তায় হরপা বানের ফলে বিপর্যস্ত সিকিমের একাধিক এলাকা। ক্ষতিগ্রস্ত ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। ফলে বন্ধ রয়েছে শিলিগুড়ি থেকে সিকিম গামি যানবাহন। যার ফলে বহু যাত্রী যারা সিকিমে যাওয়ার জন্য নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে নেমেছে তারা অনেকেই আটকে পড়ছে স্টেশনেই। তাই যাত্রী ও পরিযায়ী শ্রমিকদের কথা ভেবে তাদের জন্য রাতের খাবারের ব্যবস্থা করল আরপিএফ। রাতটুকু স্টেশনেই কাটাচ্ছে বহু যাত্রী, পর্যটক ও সেনা। কাজেই তাদের রাতের খাওয়ারের আয়োজন করে আরপিএফ। এনজেপি আরপিএফ আইসি এমডি সোহেব আলম খান জানান, "যাত্রী, জওয়ান ও পর্যটকদের জন্য আমরা খাওয়ারের আয়োজন করেছি। সিকিম যাওয়ার জন্য বহু মানুষই এখানে অপেক্ষা করছেন। তাদের যতটা সুবিধা প্রদান করা যায় সেটাই আমাদের উদ্দেশ্য।"

এদিকে, তিস্তার বন্যায় জলপাইগুড়িতে ফ্ল্যাড রেস্কিউ এন্ড রিলিফ সেন্টারে আশ্রয় নিয়েছে বহু মানুষ। জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের পাটকাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন রংধামালি বিএফটি স্কুল ও সংলগ্ন পাশে কিছু জায়গায় প্রায় ২৫০ মানুষের ঠাঁই হয়েছে। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ও গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান এবং স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যদের সহযোগিতায় তিস্তার মৌয়ামারি চড় এলাকার শিশু সহ বহু মানুষজনকে নৌকা ও বোট নিয়ে গিয়ে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে আসা হয়। বুধবার রাতে তাদের জন্য খাবারের আয়োজন করা ও স্কুল ঘরে রাতে থাকার ব্যবস্থা করা হয়। তিস্তার গরাল গ্রাসে এই পরিবারগুলোর গবাদি পশু সহ ধান, লঙ্কা সহ ইত্যাদি বহু জমির ফসল নষ্ট হয়ে যায় বলে বাসিন্দা জানান। প্রশাসনের সহযোগিতায় কোনমতে প্রাণে বেঁচে ফিরেছেন তারা। তিস্তার জলস্ফীতি খুব কাছ থেকে দেখে রাতের ঘুম উড়েছে এই মানুষগুলোর। এই অসহায় মানুষগুলো সহযোগিতার কাতর আবেদন জানিয়েছেন।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল) 

.