তির ছুড়ে রাবণ দহন নমোর, বিজয়া দশমীতে করলেন 'সবকা সাথ সবকা বিকাশে'র অঙ্গীকার
বিজয়া দশমীতে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে নিজের সংকল্পের কথা জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বিজয়া দশমীতে দিল্লির লালকেল্লার কাছে ঐতিহাসিক লবকুশ রামলীলায় হাজির হলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তির ছুড়ে রাবণের কুশপুতুল দহন করলেন প্রধানমন্ত্রী।
Delhi: Prime Minister Narendra Modi burns effigy of Ravan during #Dusherra celebrations at Luv-Kush Ramlila in Lal Qila Maidan. pic.twitter.com/TER0Dzw6UZ
— ANI (@ANI) October 19, 2018
বিজয়া দশমীতে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সকালেই নিজের সংকল্পের কথা জানিয়েছেন নমো। টুইটারে তিনি লিখেছেন, 'বিজয়া দশমীতে সবকা সাথ সবকা বিকাশ, এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারতের অঙ্গীকার করলাম'।
सबका साथ, सबका विकास और एक भारत, श्रेष्ठ भारत का यही संकल्प इस विजय दशमी को हमें लेना है: PM @narendramodi
— PMO India (@PMOIndia) October 19, 2018
এদিন মঞ্চে নরেন্দ্র মোদীকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। তাঁর কথায়, ''প্রভু রামের জীবন থেকে প্রেরণা নেওয়া উচিত আমাদের। সাধারণ মানুষ ও পরিবেশের সাহায্য রাবণকে পরাস্ত করেছিলেন রাম''। দেশবাসীকে দশেরার অভিনন্দন জানিয়ে কোবিন্দের উপদেশ, 'আমাদের ভিতরে ও চারপাশে থাকা রাবণরূপী অশুভশক্তির বিনাশ করতে হবে'।
লবকুশ রামলীলার উদ্বোধন করেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। এরপর পালাটি মঞ্চস্থ হয়। পরিশেষে বাণ ছুড়ে অশুভশক্তির প্রতীক রাবণ, মেঘনাদ ও কুম্ভকর্ণের কুশপুতুল দাহ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
তার আগে এদিন হারাষ্ট্রের শিরডিতে এক অনুষ্ঠানে লাতুরের ৪৩২৩ জনের হাতে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘরের চাবি তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। দশেরার শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন,''সব সময়ে গরিব মানুষদের সঙ্গে উতসবের আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার চেষ্টা করেছি''। তিনি আরও বলেন,''দেশের গরিব মানুষদের জন্য কাজ করছে সরকার। ২০২২ সালের মধ্যে দেশের সব মানুষদের জন্য ঘর তৈরির পরিকল্পনা করেছে সরকার''।
দেশের আবাসন সমস্যা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বিগত কংগ্রসে সরকারকে নিশানা করেন। তিনি বলেন, ''মানুষের মাথার ওপরে যদি ছাদ থাকে তাহলে তারা অন্যান্য কাজ মন দিতে পারে। তারা দারিদ্রের সঙ্গে লড়াই করতে পারে। গত সরকারের আমলে গরিবদের জন্য মাত্র ২৫ লাখ ঘর তৈরি হয়েছিল। গত ৪ বছরে এনডিএ সরকারের আমলে তৈরি করা হয়েছে ১ কোটি ২৫ লাখ ঘর। ২০২২ সালের মধ্যে সবার জন্য যে ঘর তৈরির পরিকল্পনা করেছে তার অর্ধেক কাজ করে ফেলেছে সরকার''।
আরও পড়ুন- অশুভের বিরুদ্ধে শুভশক্তির বিজয়, দশমী কী কী কারণে উদযাপিত হয়? জেনে নিন