Cyclone Biparjoy: আজই ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের ল্যান্ডফল, উপকূলে জারি লাল সতর্কতা
আরব সাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়টি গুজরাট উপকূলের দিকে ধেয়ে আসায় সৌরাষ্ট্র-কচ্ছ অঞ্চলের কিছু অংশে ভারী বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি ঝোড়ো হাওয়া বইছে। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল বুধবার রাতে গান্ধীনগরের স্টেট ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টারে পৌঁছে শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বৃহস্পতিবার গুজরাটের কচ্ছ জেলার জাখাউ বন্দরের কাছে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়। রাজ্য প্রশাসন ইতিমধ্যেই ৭৪০০০-এর বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে উপকূলের কাছাকাছি বসবাসকারী মানুষজনের উদ্ধার ও ত্রাণের জন্য দুর্যোগ মোকাবিলা ইউনিট মোতায়েন করা হয়। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আরব সাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়টি গুজরাট উপকূলের দিকে ধেয়ে আসায় সৌরাষ্ট্র-কচ্ছ অঞ্চলের কিছু অংশে ভারী বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি ঝোড়ো হাওয়া বইছে। ২০২১-এর মে মাসে 'তৌক্তে'র পর দু'বছরের মধ্যে দ্বিতীয় ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়বে রাজ্যে।
আরও পড়ুন, Predator Drone: আমেরিকা ভারতকে দিচ্ছে ভয়ংকর এই ঘাতক ড্রোন! এবার খুব সহজেই টার্গেটে শক্র?
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গুজরাটের জাখাউ বন্দরের কাছে আছড়ে পড়বে 'বিপর্যয়'। ঘণ্টায় প্রায় ১৫০ কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়তে চলেছে এই ঘূর্ণিঝড়। উপকূলবর্তী 8টি জেলার মোট ৭৪৩৪৫ জনকে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র কচ্ছ থেকেই ৩৪ হাজার ৩০০ জনকে সরিয়ে নেওয়া হয়। এরপর জামনগর থেকে ১০ হাজার,মোরবিতে ৯২৩৪ জন, রাজকোটে ৬০৮৯, দেবভূমি দ্বারকা থেকে ৪৬০৪ ,জুনাগড়ে ৩৪৯৬, পোরবন্দর জেলায় এবং গির, সোমনাথ জেলায় ১৬০৫ জনকে ইতিমধ্যেই অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে গুজরাট সরকার।
গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল বুধবার রাতে গান্ধীনগরের স্টেট ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টারে পৌঁছে শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এদিকে, গুজরাটের দুটি বিখ্যাত মন্দির - দেবভূমি দ্বারকার দ্বারকাধীশ মন্দির এবং গির সোমনাথ জেলার সোমনাথ মন্দির ভক্তদের জন্য বৃহস্পতিবার বন্ধ থাকবে। আইএমডি জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের কাছাকাছি আসার সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যের কিছু অংশে বৃষ্টিপাতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাবে। কচ্ছ, দেবভূমি দ্বারকা এবং জামনগর জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
এসইওসি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১২ ঘণ্টায় সৌরাষ্ট্র অঞ্চলের ৬৫টি তালুকে বৃষ্টি হয়েছে। বুধবার সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় বিভিন্ন জেলার ৫৪ টি তালুকে ১০মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হয়েছে। দেবভূমি দ্বারকা জেলার খাম্বালিয়া তালুকে সবচেয়ে বেশি ১২১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে দ্বারকাতে ৯২ মিলিমিটার এবং কল্যাণপুরে ৭০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
তবে কেবল গুজরাটে নয়, ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় ১৫ জুন সন্ধ্যে নাগাদ সৌরাষ্ট্র ও কচ্ছ এবং সংলগ্ন পাকিস্তান উপকূলের মধ্যে মান্ডভি (গুজরাট) এবং করাচি (পাকিস্তান)-এর কাছে জাখাউ বন্দরের কাছে অতিক্রম করবে, এমনটাই জানিয়েছে আইএমডি।
আরও পড়ুন, Cyclone Biparjoy: ঝড়ের গতি হতে পারে ১৩৫ কিলোমিটার, সন্ধেয় আছড়ে পড়বে 'বিপর্যয়'