Custodial Deaths: লকআপে বন্দি মৃত্যুর সংখ্যায় এগিয়ে মোদীর গুজরাট
শের সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে তালিকায় শীর্ষে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজ্য গুজরাট। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো (NCRB) ২০২১-এর রিপোর্ট অনুসারে, টানা দ্বিতীয় বছরে ভারত জুড়ে সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে গুজরাটে।
জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এই নিয়ে দ্বিতীয়বার শীর্ষে মোদীর রাজ্য। লকআপে মৃত্যুর ঘটনা এ বছরে ৫৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে গুজরাটে। দেশের সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে তালিকায় শীর্ষে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজ্য গুজরাট। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো (NCRB) ২০২১-এর রিপোর্ট অনুসারে, টানা দ্বিতীয় বছরে ভারত জুড়ে সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে গুজরাটে। ২০২০ সালের রিপোর্টের থেকে আরও ১৫টি বেশি ঘটনা রেকর্ড হয়েছে। গোটা ভারতে মোট ৮৮টি হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনা গত বছর রিপোর্ট হয়েছে। তার আগের বছরের রিপোর্ট বলছে, দেশে ৭৬টি এমন ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন, Madhya Pradesh: জরাজীর্ণ বাড়ি সারাইয়ের কাজে গিয়ে উদ্ধার প্রাচীন স্বর্ণমুদ্রা! তারপর...
গুজরাটে, ২৩টি হেফাজতে মৃত্যুর মধ্যে, ২২টি পুলিস হেফাজতে বা লক-আপে মৃত্যু হিসাবে রিপোর্ট করা হয়েছিল। সেই সময় তারা রিমান্ডে ছিল না। এদের মধ্যে একজন পুলিস হেফাজতে মারা গিয়েছিল। পুলিস হেফাজতে মৃত্যুর কারণগুলির মধ্যে রয়েছে নয়জন যারা আত্মহত্যা করে মারা গেছে। অন্য নয়জন যারা অসুস্থতার কারণে মারা গেছে। তবে দুজন কয়েদি পুলিস হেফাজতে শারীরিক নির্যাতনের কারণে আহত হয়েছে এবং একজন হেফাজত থেকে পালানোর চেষ্টা করার অভিযোগে মারা গেছে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, এনসিআরবি ২০২১ রিপোর্ট রেকর্ড করা হয় যে গুজরাটে ১২ জন পুলিস সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। যদিও ২০২০ সালে এই ধরনের কোনও গ্রেফতার করা হয়নি। তবে পুলিসের দ্বারা শারীরিক নির্যাতনের কারণে পুলিস হেফাজতে থাকা আঘাতের জন্য ২০২০ সালে কেউ মারা যায়নি। অন্যদিকে নিরাপদ শহরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে কলকাতা। তবে বধূ নির্যাতনের মামলাতেও শীর্ষে বাংলা। সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো ২০২১ সালের রিপোর্ট।
সেই রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ বেড়েছে ১৫.৩ শতাংশ। ২০২০ সালে গোটা দেশে মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ হয়েছিল ৩,৭১,৫০৩টি। ২০২১ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪,২৮,২৭৮টি। একই ভাবে মেট্রোপলিটন শহর গুলিতেও মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ বেড়েছে। ২০২০ তুলনায় এই খাতে অপরাধ বৃদ্ধি পেয়েছে ২২.৯ শতাংশ। ২০২০ সালে মেট্রোপলিটন সিটি গুলিতে সব মিলিয়ে মহিলাদের বিরুদ্ধে মোট অপরাধের মামলা হয় ৩৫,৩৩১টি।
২০২১ সালে তা বেডে দাঁড়িয়েছে ৪৩,৪১৪। এক্ষেত্রেও মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধে গুলির মধ্যে সর্বাধিক মামলা রুজু হয়েছে। মহিলাদের বিরুদ্ধে মোট অপরাধের ৩৩.৮ শতাংশ কেস রুজু রয়েছে। এই অভিযোগে এরাজ্যে ২০২১ সালে “Cruelty by Husband or her relatives “ (৪৯৮-এ) মামলা হয়েছে - ১৯৯৫২টি মামলা হয়েছে। তারপরই রয়েছে উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, অসম। কলকাতা ২০২১ সালে ৪৯৮ এ মামলা হয়েছে ৮৪১টি। মেট্রো সিটির মধ্যে এক্ষেত্রে শীর্ষে দিল্লি। চতুর্থ স্থানে কলকাতা।
আরও পড়ুন, 7th Pay Commission: আসছে সুখবর, একলাফে ৩৮% বাড়তে চলেছে সরকারি কর্মীদের DA!