করোনা পরিস্থিতি নিয়ে কেন্ত্রীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে মোদী, গুরুত্ব ৫ রাজ্যের সংক্রমণে
দিল্লির করোনা পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। সেকথা মাথায় রেখে অমিত শাহ ও হর্ষবর্ধনকে দিল্লির উপ-রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করতে পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন: দেশের করোনা পরিস্থিতি ভাবাচ্ছে কেন্দ্রকে। আনলক শুরু করেও করোনা সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত থামছে না। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১১ হাজারের বেশি মানুষ। এনিয়ে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী। তার আগে আজ শনিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার কয়েকজন মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন মোদী। সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রের কয়েকজন আধিকারিকও।
আরও পড়ুন-রবিবার ‘ব্রিগেড চলুন’, ডাক সামাজিক সংগঠনের
Reviewed the COVID-19 situation across the nation during a high level meeting. We also reviewed the roadmap ahead, and steps to contain the pandemic in the parts where most cases are coming from. https://t.co/xqW6RszF21
— Narendra Modi (@narendramodi) June 13, 2020
শনিবারের বৈঠকে ছিলেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন, প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ের প্রধান সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, আইসিএমআরের ডিরেক্টর-সহ অন্যান্যরা।
প্রধানমন্ত্রীর দফতর সূত্রে খবর, দেশের বিভিন্ন রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ওই বৈঠকে কথা হয়েছে। এর মধ্যে গুরুত্ব পেয়েছে ৫ রাজ্য। কারণ ওই পাঁচ রাজ্যেই রয়েছে দেশে মোট করোনা আক্রান্তদের দুই তৃতীয়াংশ। আগামী মঙ্গল ও বুধবার বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে, দিল্লির করোনা পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। সেকথা মাথায় রেখে অমিত শাহ ও হর্ষবর্ধনকে দিল্লির উপ-রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করতে পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। রাজ্যে করোনা ঠেকাতে কী করা যায় ও চিকিত্সার ব্যবস্থা আরও কীভাবে উন্নত করা যায় তা নিয়ে কথা হবে। ওই বৈঠক হবে রবিবার। রাজনৈতিক মহলের জল্পনা, দিল্লি সরকার যদি ফের লকডাউনের মতো কোনও কঠিন পদক্ষেপ নেয় তাহলে অন্যান্য রাজ্যগুলিরও তা নিয়ে ভাবনার অবকাশ থেকে যায়।
আরও পড়ুন-দেশের মানচিত্রে ভারতের এলাকা, নতুন ম্যাপের পক্ষে সংবিধান সংশোধনী বিল পাস নেপাল সংসদে
সামনের সপ্তাহেই দেশের ২১ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করবেন মোদী। সেই বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্র, গুজরাট ও তামিলনাড়ুর মতো রাজ্যের ওপরে জোর দেওয়া হতে পারে বলে জল্পনা।