Cow Smuggling: অনেককিছুই জানেন সায়গলের স্ত্রী-শ্যালক! এবার তাদের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা?
গোরুপাচার মামলায় সায়গল হোসেনের সম্পত্তির ব্যাপারে খোঁজ করতে গিয়ে তার নামে বিপুল সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে তদন্তকারীরা। সেই সম্পত্তির পরিমাণ একশো কোটির কাছাকাছি। ঘনিষ্ঠ আত্মীয়সজন তো বটেই তার বাড়ির পরিচারিকার নামেও রয়েছে বিপুল সম্পত্তি
জ্যোতির্ময় কর্মকার: আসানসোল সংশোধনাগার থেকে অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করছে ইডি। গোরুপাচার মামলায় একদফা জিজ্ঞাসাবাদের পর ফের ৮ দিন তাকে হেফাজতে চাইল এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ। এনিয়ে আজ রাউস অ্যাভিনিউয়ের আদালতে গেল ইডি।
ইতিমধ্যেই ইডি হেফাজতে ৬ দিন কাটিয়ে দিয়েছে সায়গল হোসেন। এখন ইডির বক্তব্য, ওই ৬ দিনের জেরায় জানা গিয়েছে তার স্ত্রী, মা ও শ্যালকের ওই মামলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এর পাশাপাশি, গোরুপাচার মামলায় আরও যে ৮ জনের নাম উঠে এসেছে তাদের সায়গলের সঙ্গে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ওইসব লোকজনকে একাধিকবার সমন পাঠানো হয়েছে। কিন্তু তারা কোনও সাড়া দেয়নি। ফলে তদন্তের স্বার্থে আরও কিছুদিন সায়গলকে হেফাজতে রাখা প্রয়োজন। তাই সায়গল হোসেনের স্ত্রী, মা ও শ্যালককে দিল্লিতে তলব করা হয়েছে। তাদের সঙ্গে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হবে সায়গলকে। দিল্লি থেকে ফিরে গেলে তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করতে পারে সায়গাল। এমনটাই আশঙ্কা করছে ইডি।
আরও পড়ুন- সুদ না মেটানোয় সরকারি কর্মীকে দড়ি বেঁধে ফেলা হয় রেললাইনে, এবার ছেলেকে ক্রমাগত হুমকি
এদিকে, ইডির ওই সওয়ালের পর জোরাল আপত্তি জানান সায়গলের আইনজীবীরা। তারা নিয়মের কথা তুলে ধরেন। তারা বলেন হাইকোর্টে ইডি বলেছিল, জিজ্ঞাসবাদের জন্য সায়গলকে ৭ দিন হেফাজতে রাখা যথেষ্ঠ। তার পরে আরও ৮ দিন কেন হেফজতে চাওয়া হচ্ছে?
উল্লেখ্য, গোরুপাচার মামলায় সায়গল হোসেনের সম্পত্তির ব্যাপারে খোঁজ করতে গিয়ে তার নামে বিপুল সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে তদন্তকারীরা। সেই সম্পত্তির পরিমাণ একশো কোটির কাছাকাছি। ঘনিষ্ঠ আত্মীয়সজন তো বটেই তার বাড়ির পরিচারিকার নামেও রয়েছে বিপুল সম্পত্তি। কলকাতার নিউটাউনে সায়গলের মোট ৩টে ফ্ল্যাটের হদিশ মেলে। যারমধ্যে দুটি ফ্ল্যাট সায়গলের প্রাথমিক শিক্ষিকা স্ত্রীর নামে কেনা। কিন্তু আশ্চর্যজনভাবে আরেকটি ফ্ল্যাট সায়গলের বাড়ির পরিচারিকার নামে কেনা। সিবিআই (CBI) সূত্রে খবর, নিউটউনের তিনটি ফ্ল্যাট থেকেই প্রচুর জমির দলিল ও সোনার গয়নার সন্ধান পেয়েছেন তদন্তকারীরা। ফ্ল্যাট থেকে কয়েক লক্ষ টাকার সোনার গয়না বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বেশিরভাগ সম্পত্তি-ই সায়গল কিনেছেন মা ও স্ত্রীর নামে। তবে তারমধ্যে একটি ফ্ল্যাট পরিচারিকার নামে! কেন পরিচারিকার নামে ফ্ল্যাট কেনেন সায়গল? এটা ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের।