Covid-র নয়া প্রজাতিকে ঠেকাতে অক্ষম করোনা ভ্যাকসিন, এমন কোনও প্রমাণ নেই: কেন্দ্র
ভারতে এই মূহুর্তে মোট ৬টি ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চলছে। এর মধ্যে Pfizer, Serum Institute, Bhatat Biotech জরুরি ক্ষেত্রে প্রয়োগের জন্য কেন্দ্রের কাছে অনুমতির আবেদন করেছে
নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনার নতুন প্রজাতির বিরুদ্ধে কি করোনা ভ্যাকসিন প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম? UK-সহ বিশ্বের একাধিক দেশ করোনার নতুন Strain এর সন্ধান মেলার পর এই প্রশ্নটাই এখন বড় হয়ে দেখা দিচ্ছে। এনিয়ে আশার কথা শোনাল কেন্দ্র।
আরও পড়ুন-Farmers Protest: বুধবার কী কী বিষয়ে কথা হবে, বৈঠকের ২৪ ঘণ্টা আগে কেন্দ্রকে চিঠি কৃষকদের
মঙ্গলবার কেন্দ্রের বিজ্ঞান বিষয়ক উপদেষ্টা(PSA) কে বিজয় রাঘবন বলেন, করোনার নতুন প্রজাতি যে কোভিড-১৯ এর থেকে বেশি মারাত্মক তা প্রমাণ হয়নি। পাশাপাশি, এখনও এমনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি যে নতুন প্রজাতির করোনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে অক্ষম বর্তমান ভ্যাকসিনগুলি। ভ্যাকসিন আমাদের দেহে ভাইরাসের সঙ্গে লড়তে সক্ষম এমন অ্যান্টিবডি তৈরি করে। তা নতুন প্রজাতিকেও ঠেকাতে পারে।
No evidence that vaccines will not work against new COVID-19 variants: Centre
Read @ANI Story | https://t.co/2xHMccpYFx pic.twitter.com/57dPKXIbEW
— ANI Digital (@ani_digital) December 29, 2020
এদিন এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাঘবন আরও বলেন,'আমাদের দেশে ও বিদেশে করোনা ভ্যাকসিন তৈরি হচ্ছে। কোথাও তা দেওয়াও শুরু হয়েছে। ব্রিটেন ও দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনার যে নতুন প্রজাতির দেখা মিলেছে তার বিরুদ্ধেও প্রতিরোধ করতে সক্ষম নতুন ভ্যাকসিনগুলি। তাই এখনও করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে এখনই কোনও নেতিবাচক ভাবনা করার কোনও কারণ নেই। '
উল্লেখ্য, ভারতে এই মূহুর্তে মোট ৬টি ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চলছে। এর মধ্যে Pfizer, Serum Institute, Bhatat Biotech জরুরি ক্ষেত্রে প্রয়োগের জন্য কেন্দ্রের কাছে অনুমতির আবেদন করেছে।
দেশে করোনা সংক্রমণ ক্রমশ কমছে। এমনটাও দাবি করছে কেন্দ্র। নীতি আয়োগের সদস্য ডা ভি কে পল এদিন জানান, দেশে নতুন করোনা রোগীর সংখ্যা ক্রমশ কমছে। নামছে মৃতের সংখ্যাও। এই প্রবণতা অত্যন্ত আশার বিষয়। তবে সাবধান থাকতে হবে, কারণ এই শীতের সময়ে করোনা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা যথেষ্ট বাড়ে।
আরও পড়ুন- বাসে ভাঙচুর-বাইকে আগুন, TMC নেতা খুনে অগ্নিগর্ভ Howrah
এদিকে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ আজ জানিয়েছেন, দেশের করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ৬৩ শতাংশ পুরুষ। ৩৭ শতাংশ মহিলা। মাত্রা ৮ শতাংশ রোগীর বয়স ১৮ বছরে নীচে, ১৮-২৫ বছরে মধ্যে রয়েছেন ১৩ শতাংশ, ৩৯ শতাংশের বয়স ২৬-৪৪ বছর। এছাড়া ২৬ শতাংশ রোগী রয়েছেন ৪৫-৬০ বছরের মধ্যে।