করোনা রোগীর হালকা উপসর্গ থাকলে ঘরেই আইসোলেশনে থাকা যাবে, নির্দেশিকা কেন্দ্রের
ওই নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, যারা হোম আইসোলেশনে থাকবেন তারা সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও আধিকারিকদের নজরদারিতে থাকবেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: এবার সব করোনা রোগীদের আর হাসপাতালে নিয়ে আসা নাও হতে পারে। এমনই এক নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। তবে এনিয়ে দেওয়া হয়েছে একগুচ্ছ শর্ত।
আরও পড়ুন-Live: রাজ্যে করোনায় চিকিৎসাধীন ৫০৪, মৃত বেড়ে ২০ | দেশে সক্রিয় আক্রান্ত ২১,৬৩২, মৃত ৯৩৪
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে হোম আইসোলেশনের ব্যাপারে এক নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, যেসব করোনা রোগীর মধ্যে হালকা উপসর্গ দেখা গিয়েছে বা প্রি-সিম্পটোম্যাটিক তাদের যদি বাড়িতে আইসোলেশনে থাকার ব্যবস্থা থাকে তাহলে তারা বাড়িতেই থাকতে পারেন। এর আগে কেন্দ্রের নির্দেশিকা ছিল, কারও কোভিড পজিটিভি হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে, তা তিনি যে স্তরেই থাকুন না কেন।
কেন্দ্রের তরফে ওই নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, যারা হোম আইসোলেশনে থাকবেন তারা সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও আধিকারিকদের নজরদারিতে থাকবেন। রোগীদের আরোগ্য সেতু অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে এবং সবসময়ে ওই অ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখতে হবে।
হোম আইসোলেশনে থাকার শর্ত
যখন কোনও করোনা রোগীর উপসর্গ চিকিত্সক দেখে মনে করবেন খুবই হালকা বা প্রি-সিম্পটোম্য়াটিক।
ওইসব রোগীদের বাড়িতে যদি আইসোলেশেনের জায়গা থাকে তাহলে।
২৪ ঘণ্টা ওই রোগীর ওপরে নজর রাখতে পারবেন এমন লোক থাকতে হবে।
হোম আইসোলেশনে থাকার সময় যিনি রোগীকে সবসম লক্ষ্য রাখবেন তার সঙ্গে ২৪ ঘণ্টা হাসপাতালের যোগাযোগ থাকতে হবে।
রোগীর ফোনে আরোগ্য সেতু অ্যাপ নামিয়ে রাখতে হবে।
রোজ রোগীর পরিস্থিতি জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিককে জানাতে হবে।
রোগীকে হোম কোয়ারেন্টাইনের সব শর্ত মেনে চলতে হবে।
আরও পড়ুন-করোনা পরবর্তী সময়ে নতুন নিয়ম চালু করতে পারে FIFA
কখন রোগীর চিকিত্সকের সঙ্গে পরামর্শের প্রয়োজন হবে-
শ্বাস নিতে কষ্ট হলে।
বুকে ব্যাথা বা চাপ অনুভব করলে
মানসিকভাবে ভেঙে পড়লে।
মুখে বা ঠোঁটে নীলচে দাগ দেখা গেলে।
উল্লেখ্য, সোমবার রাজ্য স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফেও প্রায় এরকমই কথা বলা হয়েছিল। সেখানে বলা হয় করোনা পজিটিভ রোগীর সংশ্পর্শ যারা আসবেন তারা চাইলে হোম আইসোলেশনে থাকতে পারেন। তবে তাদের বাড়িতে সেই সুবিধা থাকতে হবে।