বিরোধিদের পাশাপাশি শরিকি আক্রমণে সঙ্কটে কংগ্রেস

পেট্রোলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে চরম সঙ্কটে পড়ে গেল কংগ্রেস। কেন্দ্রের প্রধান শরিকদল তৃণমূল কংগ্রেসের পাশাপাশি সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে আর এর শরিক ডিএমকেও। পেট্রোপণ্যের লাগাতার দাম বাড়িয়ে সরকার আসলে ধনী কর্পোরেট সংস্থাগুলির লাভের ব্যবস্থা করছে বলে তীব্র আক্রমণ করেছে বামেরা।

Updated By: Nov 5, 2011, 10:00 PM IST

পেট্রোলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে চরম সঙ্কটে পড়ে গেল কংগ্রেস। কেন্দ্রের প্রধান শরিকদল তৃণমূল কংগ্রেসের পাশাপাশি সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে আর এর শরিক ডিএমকেও।
পেট্রোপণ্যের লাগাতার দাম বাড়িয়ে সরকার আসলে ধনী কর্পোরেট সংস্থাগুলির লাভের ব্যবস্থা করছে বলে তীব্র আক্রমণ করেছে বামেরা। পেট্রোলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে
কংগ্রেসকে তুলোধোনা করেছে বিজেপিও। গত এক বছরে এগারোবার বেড়েছে পেট্রোপণ্যের দাম। কিন্তু এই প্রথমবার চরম সঙ্কটের মুখে মনমোহন সিংয়ের সরকার।
লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধির মধ্যেই ফের পেট্রোলের দাম বাড়ানো নিয়ে সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেছে বামেরা।
শীতকালীন অধিবেশনে পেট্রলের দাম নিয়ে সংসদে যে সরকারকে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়া হবে না তা বুঝিয়ে দিয়েছে বিজেপিও। এতদিন বারবার মূল্যবৃদ্ধি হলেও নীরব ছিল সরকারের দ্বিতীয় বৃহত্তম শরিক দল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু নজিরবিহীনভাবে শুক্রবার কেন্দ্রীয় সরকারকে সমর্থনের ব্যাপারে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অবিলম্বে পেট্রোলের দাম কমানোর জন্য সরকারের উপর চাপ দিয়েছে শরিক দল ডিএমকেও। চাপে পড়ে শরিকদের মতামত গুরুত্ব দিয়ে শোনার আশ্বাস দিয়েছে কংগ্রেস। তবে তৃণমূলের এই হুঁশিযারিকে দ্বিচারিতা বলছেন বাম নেতারা। আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনে লোকপাল বিল পাস করানো নিয়ে ইতিমধ্যেই সরকারকে প্রবল চাপে রেখেছেন আন্না হাজারে। লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধিতে নাজেহাল সাধারণ মানুষের ক্ষোভকে কাজে লাগাতে ময়দানে নেমে পড়েছে বিরোধীরা। এই পরিস্থিতিতে শরিকদলগুলির চাপ সামলে কীভাবে সামলায় সরকার সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।

.