গুজরাট দখলের হুঙ্কার কংগ্রেসের
নিজস্ব প্রতিবেদন: আসন্ন নির্বাচনে ১৮২ আসন বিশিষ্ট গুজরাট বিধানসভায় অন্তত ১২৫টি আসন পকেটস্থ করবে কংগ্রেস, সাংবাদিক সম্মেলনে প্রত্যয়ী ঘোষণা রাজ্য কংগ্রেসের প্রধান ভারতসিন সোলাঙ্কির। তবে এমন 'আসাধারণ' ফল করতে গেলে পতিদার সম্প্রদায়ের নেতা হার্দিক প্যাটেল, ঠাকুর নেতা অল্পেশ ঠাকর, দলিত নেতা জিগ্নেশ মেভানি-সহ সকল বিরোধী শক্তির সাহায্য নিতান্তই প্রয়োজন তাদের। আজ সাংবাদিক সম্মেলনে তাই এইসব শক্তিগুলির সমর্থন প্রার্থনা করল কংগ্রেস। তবে শুধু এই সম্প্রদায়গুলিই নয়, কংগ্রেস আশা করছে শরোদ পাওয়ারের ন্যাশানালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি) এবং কোণঠাসা জনতা দল ইউনাইটেড (জেডিইউ) বিধায়ক চ্ছোটু বাসবও তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিজেপিকে হঠাতে ময়দানে নামবে।
গেরুয়া শাসনে ইতি টেনে মহাত্মার রাজ্য গুজরাট এবার দখল করতেই হবে কংগ্রেসকে। এমন লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নেমেছে রাহুল গান্ধীর কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই জিএসটি নিয়ে সে রাজ্যের বণিক মহলে তৈরি হওয়া ক্ষোভ এবং প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়াকে কাজে লাগাতে তত্পরতা শুরু হয়েছে কংগ্রেস নেতৃত্বের মধ্যে। বিজেপির জোড়া ফলা মোদী-শাহর রাজ্যেই যদি তাঁদের হারিয়ে দেওয়া যায় তাহলেই গোটা দেশ জুড়ে মুখ থুবড়ে পড়বে মোদীর 'বিকাশ পুরুষ' ভাবমূর্তি। তাই আদাজল খেয়ে প্রচারে নেমেছেন স্বয়ং রাহুল।
এবারের গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে রুখতে কংগ্রেস এতটাই মরিয়া যে তারা সম্প্রতিক রাজ্যসভার ভোটে 'বিশ্বাসঘাতকতা' করা শরদ পাওয়ারের এনসিপির জন্যও দরজা খোলা রাখার বার্তা পাঠাচ্ছে। উল্লেখ্য, গুজরাট থেকে রাজ্যসভার আসনে সোনিয়ার রাজনৈতিক সচিব আহমেদ প্যাটেল যখন কঠিন লড়াইয়ের সম্মুখীন তখন শরোদের দল প্রথমে সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু, শেষ অবধি বিজেপি প্রার্থী বলবন্তসিন রাজপুতের পক্ষেই ভোট দেন এনসিপির দুই বিধায়ক। এদিকে, আম আদমি পার্টির প্রচুর কর্মীও তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন বলে জানিয়েছেন ভারতসিন সোলাঙ্কি।