উন্নাও ধর্ষণকাণ্ডে দেশবাসী লজ্জিত, সংসদে সরব কংগ্রেস, নিরপেক্ষ তদন্তের আশ্বাস কেন্দ্রের

 রবিবার রায়বরেলীতে ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা লাগে নির্যাতিতার গাড়িতে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় নির্যাতিতার কাকিমা এবং তাঁর বোন

Updated By: Jul 30, 2019, 04:36 PM IST
উন্নাও ধর্ষণকাণ্ডে দেশবাসী লজ্জিত, সংসদে সরব কংগ্রেস, নিরপেক্ষ তদন্তের আশ্বাস কেন্দ্রের
ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন: উন্নাও ধর্ষণকাণ্ড নিয়ে তোলপাড় সংসদ। গাড়ি দুর্ঘটনায় নির্যাতিতার সদস্যদের মৃত্যুর পর নয়া মোড় নেয় এই ঘটনার। অভিযুক্ত বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সেঙ্গারের বিরুদ্ধে জেলে বসেই ষড়যন্ত্রের অভিযোগ ওঠে। কুলদীপ ও তাঁর ভাই মনোজ-সহ আরও ৮ জনের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু হয়েছে। এ ঘটনায় তীব্র সমালোচনা করে লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী জানান, উন্নাও ঘটনায় দেশবাসী লজ্জিত। সভ্য সমাজে এ ঘটনা কলঙ্কের, যেখানে নাবালিকা গণধর্ষিত হয়, তার পরিবারের সদস্য এবং সাক্ষীকে ট্রাকে পিষে দেওয়া হয়, খোদ নির্যাতিতা এবং তাঁর আইনজীবী আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে।

অধীর চৌধুরীর মন্তব্যের পালটা জবাবে কেন্দ্রীয় সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী বলেন, উন্নাও ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়। ইতিমধ্যে সিবিআই তদন্তভার হাতে নিয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে। সরকার নিরপেক্ষ তদন্ত চালাচ্ছে বলে দাবি করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। উন্নাওয়ের উদাহরণ টেনে বিরোধীদের অভিযোগ, দেশের মহিলাদের প্রতি ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটছে।

উল্লেখ্য, রবিবার রায়বরেলীতে ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা লাগে নির্যাতিতার গাড়িতে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় নির্যাতিতার দুই কাকিমার। অন্য একটি মামলায় জেল বন্দি কাকাকে দেখতে গিয়ে দুর্ঘটনার মুখে পড়েন ওই নির্যাতিতা। অভিযোগ ওঠে, কুলদীপের ইশারায় এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। নির্যাতিতার কাকার অভিযোগ, জেলে বসেই অভিযুক্ত সব খবর পাচ্ছে। নির্যাতিতার নিরাপত্তারক্ষীরাই তাঁর গতিবিধির খবর সরবরাহ করছে বলে অভিযোগ ওঠে। ঘটনার দিন নির্যাতিতার সঙ্গে নিরাপত্তারক্ষী ছিল না এ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

আরও পড়ুন- মাটিতে ধস, হুরমুড়িয়ে ভেঙে পড়ে আবাসনের একাংশ! দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত ২

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে চাকরি দেওয়ার নাম করে নিজের বাড়িতে ১৫ বছরে ওই নাবালিকাকে কুলদীপ সেনগার ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ ওঠে।  নির্যাতিতার পরিবার জানায়, পুলিসে একাধিকবার অভিযোগ জানিয়েও ফল হয়নি। উলটে নির্যাতিতার বাবাকে মিথ্যে মামলায় জেলে পুরে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এরপর, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বাসভবনের সামনে নির্যাতিতা ও তাঁর মা গায়ে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তারপরই এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসে।

কাকতালীয়ভাবে, সে সময়ই জেলেতে নির্যাতিতার বাবার সন্দেহজনকভাবে মৃত্যু হয়। বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সেনগারের ভাইয়ের বিরুদ্ধে জেলের মধ্যেই নির্যাতিতার বাবাকে মারধরের অভিযোগ ওঠে। 

.