পেট্রোল-ডিজেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে সোমবার ভারত বনধের ডাক দিল কংগ্রেস
পেট্রোল ও ডিজেলকে জিএসটি-র আওতায় আনার দাবি কংগ্রেসের।
নিজস্ব প্রতিবেদন: পেট্রোল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ভারত বনধের ডাক দিল কংগ্রেস। বিরোধী দল ও নাগরিক সমাজকে বনধে সামিল হওয়ার আহ্বান জানাল রাহুল গান্ধীর দল।
নয়াদিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠকে কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেন, 'পেট্রেল, ডিজেল ও গ্যাসের ঊর্ধ্বমুখী দামের আঁচে পুড়ছে সাধারণ মানুষ। সোমবার, ১০ সেপ্টেম্বর দেশজুড়ে বনধ পালন করবে কংগ্রেস। ১১ কোটি টাকার জ্বালানি লুট হয়েছে।'। পেট্রোল থেকে শুল্ক কমানোর দাবিও করেছেন রণদীপ সুরজেওয়ালা। তাঁর কথায়, ''পেট্রোল ও ডিজেলকে জিএসটি-র আওতায় আনার দাবি করছে কংগ্রেস। জ্বালানি থেকে কেন্দ্রীয় শুল্কও কমানো হোক। সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিক সরকার''। শুধু বিরোধীরাই নয়, ভারত বনধে সামাজিক সংগঠন ও স্বেচ্ছাসেবীদেরও সামিল হওয়ার আহ্বান করেছেন কংগ্রেসের মুখপাত্র।
A protest will be called on September 10 against this fuel loot by the Central Govt: Randeep Surjewala,Congress pic.twitter.com/6pyHpuwQ2q
— ANI (@ANI) September 6, 2018
কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা অশোক গেহলট বলেন, নরেন্দ্র মোদী সরকারের ঘুম ভাঙাতে ভারত বনধ ডেকেছি আমরা। সাধারণ মানুষের উপরে বোঝা চাপিয়েছে এই সরকার।
কংগ্রেস যেদিন ভারত বনধের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করল, সেই দিন অর্থাত্ বৃহস্পতিবার তপশিলি জাতি ও উপজাতি আইনের সংশোধন নিয়ে বনধের ডাক দিয়েছিল উচ্চশ্রেণির সংগঠনগুলি। বিহারে রেলপথ ও রাস্তা অূরোধ করে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। উত্তরের কয়েকটি রাজ্যে এর প্রভাব পড়েছে। বিহার, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, উত্তর প্রদেশ ও পঞ্জাবের কিয়দংশ এলাকায় বন্ধছিল দোকানপাট। জাতপাতের ভিত্তিতে সংরক্ষণ প্রথা তুলে দেওয়ার বিরোধিতা করছেন আন্দোলনকারীরা।বিহারের রাজেন্দ্রনগর বাসস্টপ ভাঙচুরের খবর মিলেছে। রাজগীরে রেলপথ অবরোধের জেরে ব্যাহত হয়েছে ট্রেন পরিষেবা।
প্রাথমিক তদন্ত না করে তপশিলি জাতি ও উপজাতি আইনে কাউকে গ্রেফতার করা যাবে না বলে রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই রায়ের পর আইন সংশোধন করে পুরনো আইন বহাল রাখার দাবি তোলেন দলিতরা। দেশের বিভিন্নপ্রান্তে ছড়ায় হিংসা। সেই দাবি মেনে সংসদে তপশিলি জাতি ও উপজাতি আইন সংশোধন করে কেন্দ্রীয় সরকার। ফলে সুপ্রিম কোর্টের রায়টি আর বৈধ থাকল না। আগের মতোই তপশিলি জাতি ও উপজাতি আইনে প্রাথমিক তদন্তের আগেই গ্রেফতারির সংস্থান থাকল।
কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এদিন বিহারে বিজেপির দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখান উচ্চবর্ণের প্রতিনিধিরা। তাঁদের দাবি, উচ্চবর্ণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে বিজেপি। মোদী সরকার বিরোধী স্লোগানও দেন তাঁরা। উচ্চবর্ণের ভোট দীর্ঘ সময় ধরে বিজেপির কুক্ষিগত। ফলে ২০১৯ সালের আগে উচ্চবর্ণের গোঁসা নিশ্চিতভাবে বেকায়দায় ফেলবে কেন্দ্রের শাসক দলকে।
আরও পড়ুন- রাহুল গান্ধী দেশের সবচেয়ে বড় ভাঁড়, কংগ্রেসের ভৃত্য হব না: কেসিআর