নিরাপত্তা মানেননি, স্বীকার করলেন মুখ্যমন্ত্রীই
দিল্লি পুলিস তাঁকে ভিআইপি গেট দিয়ে ঢুকতে বলে। তিনি স্বেচ্ছায় সেই গেট পরিহার করেছেন। কারণ তিনি নিজেকে ভিআইপি বলে মনে করেন না, এলআইপি বলে মনে করেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে পাঠানো দিল্লি পুলিসের রিপোর্টকে কার্যত সিলমোহর বসিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই।
দিল্লি পুলিস তাঁকে ভিআইপি গেট দিয়ে ঢুকতে বলে। তিনি স্বেচ্ছায় সেই গেট পরিহার করেছেন। কারণ তিনি নিজেকে ভিআইপি বলে মনে করেন না, এলআইপি বলে মনে করেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে পাঠানো দিল্লি পুলিসের রিপোর্টকে কার্যত সিলমোহর বসিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই।
দিল্লি ছাড়ার আগে মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিল্লি পুলিসকেই আরও একবার কাঠগড়ায় তুলে তিনি বলেন, 'দিল্লি নিরাপদ নয়।' সাংবাদিকরা ভিআইপি গেট সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, "আমি ভিখারি নই। মাথা নিচু করি না।" নিরাপদ ভিআইপি গেট দিয়ে না ঢোকার কারণ ব্যক্ত করতে গিয়ে তিনি বলেন, "আমি নিজেকে ভিআইপি মনে করি না। আমি এলআইপি।"
স্বাভাবিক ভাবেই রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে তবে মুখ্যমন্ত্রী রাজনৈতিক উদ্দেশ নিয়েই নিরাপদ ভিআইপি গেট পরিহার করে উত্তেজনাময় মেইন গেট দিয়ে ঢোকেন? ছাত্রনেতা সুদীপ্ত গুপ্তর পুলিসি হেফাজতে মৃত্যর বিচারবিভাগীয় তদন্ত নিয়ে যখন সারা দেশ উত্তাল তখন সেই ঘটনা থেকে নজর ঘুরিয়ে দেওয়ার উদ্দেশেই কি স্বেচ্ছায় উত্তেজিত বিক্ষোভকারীদের সামনাসামনি হওয়া? উঠছে সেই প্রশ্নও।
অন্যদিকে আজ সকালেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে দেওয়া রিপোর্টে দিল্লি পুলিস জানিয়েছে নিরাপত্তা নিয়ে নির্দেশিকা না মানাতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিক্ষোভের মুখে পড়েন।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, গতকাল যোজনা কমিশনের সামনে জমায়েত এবং বিক্ষোভের কথা আগেই জানানো হয়েছিল রেসিডেন্ট কমিশনার এবং প্রটোকল অফিসারকে। যোজনা ভবনের মেইন গেটের বদলে ভিআইপি গেট দিয়েই মুখ্যমন্ত্রীকে যোজনা কমিশন ভবনে ঢুকতে বলা হয়েছিল। নিরাপত্তার কারণে পাইলট কার নিতেও বলা হয় মুখ্যমন্ত্রীকে। মুখ্যমন্ত্রী তাতে রাজি হননি বলে জানিয়েছে দিল্লি পুলিস। শেষ পর্যন্ত নিজের গাড়িতেই যোজনা কমিশনের মেইন গেটে পৌঁছন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পুলিস জানিয়েছে, তখন বিক্ষোভকারীদের সরাতে ব্যস্ত থাকায়, মুখ্যমন্ত্রীর গাড়িটিকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি। পুলিসের তরফে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অপেক্ষা করতে বলা হলেও, তিনি তা না অগ্রাহ্য করে গাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর পিছনে থাকায় অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র হেনস্থার শিকার হন।
কিন্তু পুলিসের সাহায্যে যোজনা কমিশনের ভিতরে নিরাপদেই পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী।