নিজের দেশ ছেড়ে চলে আসা মানুষদের যন্ত্রণা বুঝতে হবে, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে সরব মোদী
বিলটি সম্পর্কে মোদী বলেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল কোনও বিশেষ ধর্ম বা রাজ্যকে লক্ষ্য করে আনা হয়নি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে অসম সহ উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলিতে ক্ষোভ ক্রমশ দানা বাঁধছে। সেই বিলের সমর্থনে অসমে সরব হলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শনিবার অসমের চাঙ্গাসারিতে বলেন, ‘অসমের স্বার্থ রক্ষায় বদ্ধপরিকর কেন্দ্র। তবে এদেশে অনুপ্রবেশকারীদের কোনও জায়গা নেই।‘ কংগ্রেসকে নিশানা করে মোদী বলেন, যারা এই দেশকে ধ্বংস করেছে, অসমের স্বার্থের সঙ্গে খেলা করেছে তারাই এখন নাগরিকত্ব বিল নিয়ে অপপ্রচার করছে।
আরও পড়ুন-বৃষ্টির আশঙ্কার মধ্যেই বাড়ল কলকাতার তাপমাত্রা
উল্লেখ্য, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ২০১৬ অনুযায়ী আফগানিস্থান, পাকিস্তান, বাংলাদেশ থেকে আগত হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, পার্সি ও শিখদের এদেশে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। বিলটি ইতিমধ্যেই লোকসভায় পাস হয়ে গিয়েছে। এবার তা রাজ্যসভায় পাস হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। অসমের মতো রাজ্যে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের সংখ্যা বেড়েছে বলে অভিযোগ বহু পুরনো। এরকম এক অবস্থায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস হলে তা চাপ বাড়াবে অসম সহ উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলির ওপরে।
Prime Minister Narendra Modi in Changsari, Assam: Only after necessary investigation and recommendation of the state government can the decision of giving someone citizenship be taken. My government is fully committed to the interests of Assam. pic.twitter.com/5y4zaRxG6a
— ANI (@ANI) February 9, 2019
নরেন্দ্র মোদী এদিন বলেন, যারা রাজধানীতে এসি ঘরে বসে থাকেন তারা নাগরিকত্ব বিল নিয়ে ভুল তথ্য প্রচার করছেন। বিজেপি আসম ও উত্তরপূর্ব ভারতের সংস্কৃতি রক্ষায় বদ্ধপরিকর। অসম চুক্তির ৬ ধারা গত ৩৫ বছরে কার্যকর করা হয়নি। বর্তমান সরকার তা তা কার্যকর করবে।
আরও পড়ুন-টানা ৩ ঘণ্টা আলোচনা রাজীব-সিবিআইয়ের, সামনে রাখা হল ২২ পাতার প্রশ্নমালা
বিলটি সম্পর্কে মোদী বলেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল কোনও বিশেষ ধর্ম বা রাজ্যকে লক্ষ্য করে আনা হয়নি। এই বিল গোটা দেশের জন্যই। নিজের দেশ থেকে পালিয়ে আসতে বাধ্য হওয়া মানুষজনের যন্ত্রণা বুঝতে হবে। বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্থান, তারা যেখান থেকেই আসুক না কেন একসময় তারা ভারতেরই অংশ ছিলেন। ওইসব দেশের হিন্দু, শিখ, পার্সি, শিখরা বুঝেছেন ভারতেই তারা শান্তিতে থাকতে পারবেন। এদের সবাইকে ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া প্রয়োজন।