শীতকালীন অধিবেশনেই আসছে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল, সবুজ সংকেত দিয়ে দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা

বিলের বিরোধিতা করেছে কংগ্রেস, তৃণমূল, সিপিএম-সহ বেশ কয়েকটি দল। তাদের দাবি ধর্মের ভিত্তিতে কাউকে দেশের নাগরিকত্ব দেওয়া যায় না

Updated By: Dec 4, 2019, 12:39 PM IST
শীতকালীন অধিবেশনেই আসছে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল, সবুজ সংকেত দিয়ে দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা

নিজস্ব প্রতিবেদন: নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল আনা হবে সংসদে।  এনিয়ে সবুজ সংকেত দিয়ে দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা।

বুধবার সংসদভবনে ওই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে এক বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়।  সম্ভবত আগামী সপ্তাহেই বিলটি সংসদে আনা হতে পারে।  সূত্রের খবর, এসসি/এসি সংরক্ষণ বিলও আনা হতে পারে।

আরও পড়ুন-আগামী জুন মাস থেকেই চালু হচ্ছে ‘এক দেশ এক রেশন কার্ড ব্যবস্থা’, জানিয়ে দিলেন রাম বিলাস পাসোয়ান

কী রয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী  বিলে? ১৯৫৫ সালের সিটিজেনশিপ অ্যাক্ট সংশোধন করতেই ওই বিল আনা হচ্ছে।  এই বিল অনুযায়ী পাকিস্তান, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ থেকে আসা সেই দেশের সংখ্যালঘু অর্থাত্ হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি ও খ্রিষ্টান ধর্মালম্বী মানুষরা এদেশে ৬ বছর থাকলেই নাগরিকত্ব পাবেন। আগে এই সময়সীমা ছিল ১২ বছর।  নাগরিকপঞ্জীর মতো এই বিলের বিরোধিতা করেছে কংগ্রেস, তৃণমূল, সিপিএম-সহ বেশ কয়েকটি দল। তাদের দাবি ধর্মের ভিত্তিতে কাউকে দেশের নাগরিকত্ব দেওয়া যায় না।

প্রসঙ্গত,লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের সময়েই বিজেপির অ্যাজেন্ডা ছিল নাগরিকপঞ্জী তৈরি করা। অসেম সেই নাগরিকপঞ্জী তৈরির পরই  ক্ষোভ শুরু হয়েছে দলের অন্দরে। কারণ নাগরিকপঞ্জী থেকে বাদ পড়েছেন কয়েক লক্ষ হিন্দু।  বিরোধীদের দাবি  ওইসব মানুষদের নাগরিকত্ব পাইয়ে দিতেই আনা হচ্ছে এই বিল। কারণ বিজেপি প্রকাশ্যেই বলে আসছে, তালিকা থেকে বাদপড়া হিন্দুদের কোনও চিন্তা নেই। তাদের নাগরিকত্ব দিতে আনা হচ্ছে নাগরিতক্ব সংশোধনী বিল।

আরও পড়ুন-কেজি ১৪০ টাকা, এর পরও পেঁয়াজের জোগানে ঘাটতি কলকাতার নামী বাজারে

এই সংশোধনী বিল নিয়ে আপত্তি রয়েছে উত্তরপূর্বের কয়েকটি রাজ্যের। তাদের  বোঝাতে উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলির মন্ত্রী-রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে একের পর এক বৈঠক করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। এনিয়ে অসমের মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, বিলটির সারমর্ম বোঝাতে উত্তরপূর্বের নেতাদের সঙ্গে কমপক্ষে ১০০ ঘণ্টা বৈঠক করেছেন অমিত শাহ।

.