R G Kar Incident: হাসপাতালের বেডে বেঁধে পায়ু সঙ্গম, আরজি কর শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টে উঠল অরুণার নামও
R G Kar Incident: আরজি কর হাসপাতালে ডিউটিরত অবস্থায় আক্রান্ত হন তরুণী চিকিত্সক। তাঁকে ধর্ষণ ও খুন করা হয়। ঠিক একইভাবে কর্তব্যরত অবস্থা ভয়কর নির্যাতনের শিকার হন অরুণা শানবাগ
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: তাঁর ছবির মতোই মলিন হয়ে গিয়েছে তাঁর স্মৃতি। অথচ পাঁচ দশক আগে মুম্বইয়ের নার্স অরুণা শানবাগের ধর্ষণ কাঁপিয়ে দিয়েছিল গোটা দেশকে। নির্যাতনের ধাক্কায় ভেজিটেটিভ স্টেটে চলে যান অরুণা। তার পরেও চার দশক বেঁচে ছিলেন। ভয়ংকর সেই জীবন থেকে বাঁচতে স্বেচ্ছামৃত্যুরও অনুমতি পাননি অরুণা। শেষপর্যন্ত হাসপাতালে নিউমোনিয়াতে অবসান হয় ভয়ংকর কষ্টের সেই জীবনের। মঙ্গলবার আরজিকর মামলার শুনানিতে অরুণা শানবাগের কথা টেনে আনেন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়।
আরও পড়ুন-ওঁকে অন্য ভাবে চিনলে ভালো হতো, লজ্জিত আরজিকরের পরিবার
আরজি কর হাসপাতালে ডিউটিরত অবস্থায় আক্রান্ত হন তরুণী চিকিত্সক। তাঁকে ধর্ষণ ও খুন করা হয়। ঠিক একইভাবে কর্তব্যরত অবস্থা ভয়কর নির্যাতনের শিকার হন অরুণা শানবাগ। আরজি করের নির্যাতিতা মারা গিয়েছেন। আর নিদারুণ নির্যাতন সহ্য করেও কয়েক বছর বেঁচে ছিলেন অরুণা শানবাগ।
কী হয়েছিল অরুণার সঙ্গে
১৯৬৭ সালে মুম্বয়ের কে ই এম হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে নার্স হিসেবে যোগ দেন অরুণা শানবাগ। তখন তিনি পঁচিশ। এনগেইজমেন্ট হয়ে গিয়েছে একই হাসপাতালের চিকিত্সর সন্দীপ সাক্সেনার সঙ্গে। ১৯৭৪ সালের প্রথম দিকে তাদের বিয়ে হওয়ার কথা। কিন্তু ১৯৭৩ সালের ২৭ নভেম্বর তার সঙ্গে ঘটে যায় হাড়হিম করার মতো ঘটনা। সোহনলাল বাল্মীকি নামে এক ওয়ার্ডবয় অরুণার উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে তার উপর চরম যৌন নির্যাতন চালায়। ধর্ষণের পাশাপাশি তাঁকে বেডে বেঁধে পায়ু সঙ্গমও করা হয়। এরপর কুকুর বাঁধার বেল্ট দিয়ে তার শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলার চেষ্টা হয়।
ওই নিদারুন নির্যাতনের পর বেঁচে যান অরুণা। কিন্তু তাঁর মস্তিস্কের চরম ক্ষতি হয়ে যায়। অরুণা চলে যানা পারসিসট্যান্ট ভেজিটেটিভ স্টেজে বা কোমায়। ওই অবস্থায় ৪২ বছর বেঁচেছিলেন অরুণা। শেষপর্যন্ত মারা যান ২০১৫ সালে।
দিনের পর দিন বিছানায় পড়েছিলেন অরুণা। কথা বলতে পারতেন না। সবকিছুই অন্যের উপরে নির্ভর করে থাকতে হতো। চার দশক তাঁকে জোর করে খাইয়ে তাঁকে বাঁচিয়ে রাখেন হাসপাতালের স্টাফরা। তিনি গোটা দেশের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে যান। এরকমই এক পরিস্থিতিতে ২০১১ সালে সুপ্রিম কোর্টে একটি পিটিশন ফাইল করেন সাংবাদিক পিঙ্কি ভিরানি। তিনি আবেদন করেন, এই পরিস্থিতিতে অরুণাকে স্বেচ্ছমৃত্যুর অনুমতি দেওয়া হোক। এনিয়ে পিঙ্কি একটি বই লেখেন। নাম ছিল অরুণাজ স্টোরি। সেখানে লেখা হাসপাতালের খাবার চুরি করত বাল্মীকি। তা নিয়ে অরুণার সঙ্গে বাল্মীকির বিবাদ। আদালত শেষপর্যন্ত প্যাসিভ ইউথানসিয়ার অনুমিত দেয়।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)