Chandrayaan-3: অবশেষে প্রতীক্ষার অবসান! ১৪ জুলাই দুপুরে চন্দ্রযান-৩ ছুটবে চাঁদের দিকে...
Chandrayaan 3: এবার কি সাফল্যের মুখ দেখবে ভারত? হাসি ফুটবে ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন (ইসরো)-এর মুখে? সময়ই বলবে। আপাতত অধীর আগ্রহে শ্রীহরিকোটার দিকে তাকিয়ে সারা দেশ। আগ্রহী সারা বিশ্ব।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: অবশেষে আসছে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। আগামীকাল ১৪ জুলাই শুক্রবার 'চন্দ্রযান-ত'-এর উৎক্ষেপণদিবস। ভারতের মহাকাশপ্রযুক্তির দিক থেকে বড় ঘটনা। এবং অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণও এই কারণে যে, এর আগের মিশন, 'চন্দ্রযান-২', ব্যর্থ হয়েছে। যে-ব্যর্থতার ক্ষত এখনও দগদগে। 'ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন' (ইসরো) আগামীকাল 'চন্দ্রযান-৩' বহনকারী স্পেসক্র্যাফ্ট লঞ্চ করতে চলেছে। এটিই হতে চলেছে ভারতের হেভিয়েস্ট জিএসএলভি। তৈরি হয়েছে শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টারে। চাঁদে এটি সফ্ট ল্যান্ডিং করবে। এই ল্যান্ডিংটা খুবই জরুরি। কেননা, আগের চন্দ্রাভিযান মিশন 'চন্দ্রযান-২' চাঁদের মাটিতে হার্ড ল্যান্ডিয়ের জন্য ব্যর্থ হয়েছিল। সেই ব্যর্থতা এবার মুছে ফেলতে বদ্ধপরিকর ভারত, প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ভারতের মহাকাশবিজ্ঞানীর দল, 'ইসরো'।
চাঁদে পাড়ি দেওয়ার আগে তাদের মহাকাশযান ধারণকারী পেলোড ফেয়ারিংকে জিওসিঙ্ক্রোনাস লঞ্চ ভেহিকেল মার্ক থ্রি-র সঙ্গে জুড়ে নিয়েছে 'ইসরো'। ভারতের সবচেয়ে ভারী রকেটের সঙ্গে পেলোড ফেয়ারিংয়ের জুড়ে দেওয়ার কাজটি শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টারেই করা হয়েছে। 'ইসরো'-প্রধান এস সোমনাথ আগেই জানিয়েছিলেন, ১২ জুলাই থেকে ১৯ জুলাই দিনগুলিই উৎক্ষেপণের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে। কারণ, 'অরবিটাল ডায়নামিকস' অনুসারে, চাঁদে পাড়ি দেওয়ার ক্ষেত্রে চন্দ্রযানটির এই সময়েই সবচেয়ে কম জ্বালানি (মিনিমাল ফুয়েল) লাগবে এবং এর কর্মক্ষমতাও এই সময়ে চূড়ান্ত (হায়ার এফিসিয়েন্সি) থাকবে।
আরও পড়ুন: ভয়ংকর স্রোতের প্লাবনে শিউরে উঠছে জনপদ! ফুঁসছে নদী, বইছে কাদাস্রোত, বাড়ছে মৃত্যু...
এই প্রকল্প নিয়ে 'ইসরো' খুবই আত্মবিশ্বাসী ও উচ্ছ্বসিত। তারা জানিয়েছে, লুনার সারফেসে বা চাঁদের মাটিতে ঘোরার সময়ে চন্দ্রযান-৩ চাঁদের ভূ-প্রকৃতি ও তার পরিবেশ নিয়ে 'ইন-সিটু কেমিক্যাল অ্যানালিসিস' চালাবে। এটি চাঁদের দক্ষিণ মেরু-অঞ্চলেই মূলত ঘোরাফেরা করবে। চন্দ্রযান-৩-এর তিনটি অংশ-- প্রোপালশন মডিউল, ল্যান্ডার, রোভার। প্রোপালশন মডিউলটি চাঁদের কক্ষপথের ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে এসে ল্যান্ডার ও রোভারকে ঠেলে দেবে। এর পরের মূল দায়িত্ব ল্যান্ডারের উপরই। তার কাজ রোভারটিকে চাঁদের পিঠে সফ্ট ল্যান্ডিং করানো। একবার সফল ভাবে সফ্ট ল্যান্ডিং হয়ে গেলেই তখন এই অভিযানের সমস্ত দায়িত্বভার একার কাঁধে তুলে নেবে রোভার। সে শুরু করে দেবে তার গবেষণা-- মাটি পরীক্ষা, খনিজনমুনা সংগ্রহ, চাঁদের মাটির তাপ ও ভৌত-রাসায়নিক উপাদান বিশ্লেষণ ইত্যাদি। আর এই চন্দ্রযান-৩-এর মাধ্যমে চাঁদের মাটিতে রোভার নামিয়ে চাঁদ-চর্চা শুরু করে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মহাকাশচর্চার ক্ষেত্রে রেকর্ড করে ফেলবে ভারত। কেননা, জটিল কঠিন ও বিরল এই কাজটি সুষ্ঠু ভাবে করার ক্ষেত্রে বিশ্বে চতুর্থ দেশ হতে চলেছে সে।
(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)