তপশিলি জাতি ও উপজাতি আইনের উপরে দেওয়া নির্দেশিকা বিবেচনা করতে সম্মত হল সুপ্রিম কোর্ট
অবশেষে তপশিলি জাতি ও উপজাতি নির্যাতন রোধ আইনের উপরে দেওয়া নির্দেশিকা পুনর্বিবেচনা করতে সম্মত হল সুপ্রিম কোর্ট। এনিয়ে গতকালই একটি রিভিউ পিটিশন দাখিল করে কেন্দ্র। সোমবার সুপ্রিম কোর্টের রায় পুনর্বিবেচনা করার আবেদন করে বেশ কয়েকটি দলিত সংগঠন। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়।
নিজস্ব প্রতিবেদন: অবশেষে তপশিলি জাতি ও উপজাতি নির্যাতন রোধ আইনের উপরে দেওয়া নির্দেশিকা পুনর্বিবেচনা করতে সম্মত হল সুপ্রিম কোর্ট। এনিয়ে গতকালই একটি রিভিউ পিটিশন দাখিল করে কেন্দ্র। সোমবার সুপ্রিম কোর্টের রায় পুনর্বিবেচনা করার আবেদন করে বেশ কয়েকটি দলিত সংগঠন। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়।
তপশিলি জাতি ও উপজাতি আইন লঘু করে দেওয়ার অভিযোগে সোমবার ভারত বনধ ডেকেছিল দেশের বেশ কয়েকটি দলিত সংগঠন। বনধকে কেন্দ্র করে হওয়া হিংসায় এখনও পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। মধ্যপ্রদেশ-সহ দেশের বেশ কয়েকটি জায়গায় কার্ফু জারি করতে হয়। বাধ্য হয়েই সুপ্রিম কোর্টের রায় পুনর্বিবেচনা করার অবেদন করেছে কেন্দ্র।
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে অ্যাটর্নি জেনারেল কেকে বেণুগোপাল সওয়াল করেন, দলিত বনধকে কেন্দ্র করে দেশে জরুরি অবস্থার মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। তাই ওই আইন সম্পর্কে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা দ্রুত পুনর্বিবেচনা করা উচিত। অ্যাটর্নি জেনারেলের বক্তব্য শুনে আজ দুটো নাগাদ কেন্দ্রের আবেদনের শুনানি করতে সম্মত হয়েছে শীর্ষ আদালত।
আরও পড়ুন-গেমস ভিলেজে বাবার নাম বাদ, সাইনার অভিযোগ উড়িয়ে দিল আইওএ
উল্লেখ্য, সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে তার একটি নির্দেশিকায় বলে, তপশিলি জাতি ও উপজাতি নি়র্যাতন রোধ আইনে কোনও সরকারি কর্মীকে গ্রেফতার করতে গেলে আগাম অনুমতি নিতে হবে। তপশিলি জাতি ও উপজাতিদের উপরে কোনও নির্যাতনের ঘটনায় মামলা করতে গেল ঘটনার ডিএসপি পর্যায়ের তদন্ত করতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের ওই নির্দেশিকার প্রতিবাদে দেশজুড়ে বনধের ডাক দেয় দেশের একাধিক দালিত সংগঠন।