বিদেশে গচ্ছিত কালো টাকার মালিকদের খুঁজে বার করতে কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ সুপ্রিমকোর্টের, পুনর্গঠিত হল সিট

বিদেশে গচ্ছিত কালো টাকার মালিক কারা? শেষ পর্যন্ত কি এই প্রশ্নের উত্তর মিলতে চলেছে? সুপ্রিম কোর্টের একটি রায়ে অন্তত তেমনই সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

Updated By: May 2, 2014, 09:08 AM IST

বিদেশে গচ্ছিত কালো টাকার মালিক কারা? শেষ পর্যন্ত কি এই প্রশ্নের উত্তর মিলতে চলেছে? সুপ্রিম কোর্টের একটি রায়ে অন্তত তেমনই সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

বিদেশের ব্যাঙ্কে এদেশের ছাব্বিশজন অ্যাকাউন্ট হোল্ডারের সন্ধান মিলেছে। তাঁদের নাম প্রকাশ্যে আনার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। সেই সঙ্গে কালো টাকা মামলার তদন্তে গতি আনতে বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট পুনর্গঠন করেছে তারা।

বিদেশে গচ্ছিত কালো টাকার মালিক কারা, তার রহস্যজট ছাড়াতে ২০১১ সালে গঠিত হয়েছিল স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম বা সিট। সরকারের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের নিয়েই ওই তদন্তদল গঠিত হয়। কিন্তু তারপর তিন বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও, তদন্তের কাজ সেভাবে এগোয়নি। আদালতের নজরদারিতে সিটের যে দল কালো টাকার তদন্ত করবে, প্রথমে তার প্রধান হিসেবে প্রাক্তন বিচারপতি বি পি জীবন রেড্ডির নাম গৃহীত হয়। কিন্তু তিনি আপত্তি জানানোয়, এম বি শাহকে সিটের চেয়ারপার্সন করা হয়েছে। আরেক প্রাক্তন বিচারপতি অরিজিত্ পাসায়াতকে নিয়োগ করা হয়েছে ভাইস-চেয়ারপার্সন হিসেবে।

কেন্দ্রীয় সরকারকে তিন সপ্তাহের মধ্যে এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারির নির্দেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। জার্মানির লিচেনস্টাইন ব্যাঙ্কে গচ্ছিত কালো টাকার মালিক হিসেবে, যে ছাব্বিশ জন ব্যক্তির নাম তদন্তে উঠে এসেছে, তিন দিনের মধ্যে তার তালিকা আইনজীবী রামজেঠ মালানির কাছে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। একই সঙ্গে কালো টাকা সংক্রান্ত যে সব মামলার তদন্ত শেষ হয়েছে, কেন্দ্রকে তার রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি এইচ এল দাত্তুর বেঞ্চ। জার্মানির আয়কর দফতর সূত্রে ছাব্বিশজন কালো টাকার মালিকের নাম জানা গেছে। সলিসিটর জেনারেল মোহন পরসরান গত মঙ্গলবার আদালতকে একথা জানিয়েছিলেন। ওই ছাব্বিশজনের মধ্যে আঠেরোজনের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ হয়েছে। সতেরোজনের বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে একজনের। ওই ছাব্বিশজন অ্যাকাউন্ট হোল্ডার কারা, কেন্দ্রকে জনসমক্ষে তা প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, বহু চর্চিত কালো টাকার কুশীলবদের নাম কি তাহলে শেষ পর্যন্ত প্রকাশ্যে আসতে চলেছে?

.