সাধুর মর্যাদা হারাতে পারেন ধর্ষণে অভিযুক্ত বিজেপি নেতা চিন্ময়ানন্দ
গত শুক্রবার শহজাহানপুরে তাঁর আশ্রম থেকে চিন্ময়ানন্দকে গ্রেফতার করে পুলিস। তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। তিনি মহা নির্বাণী আখড়ার মহামণ্ডলেশ্বর
নিজস্ব প্রতিবেদন: ধর্ষণে অভিযুক্ত চিন্ময়ানন্দের ‘সাধুর’ মর্যাদা হারাতে পারেন বলে জানা যাচ্ছে। শনিবার অখিল ভারতীয় আখড়া পরিষদ (এবিএপি) বৈঠকে বসে। এটি সাধুদের মূল সংগঠন। বৈঠক শেষে এবিএপি-র প্রেসিডেন্ট মোহন্ত নরেন্দ্র গিরি জানান, চিন্ময়ানন্দের সাধুর মর্যাদা তুলে নেওয়া হবে। আগামী ১০ অক্টোবর হরিদ্বারে বসছে এবিএপি-র সাধারণ সভা। ওই সভায় চূড়ান্ত হয়ে যাবে চিন্ময়ান্দের ভাগ্য।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার শহজাহানপুরে তাঁর আশ্রম থেকে চিন্ময়ানন্দকে গ্রেফতার করে পুলিস। তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। তিনি মহা নির্বাণী আখড়ার মহামণ্ডলেশ্বর। কিন্তু সন্ন্যাসী সম্প্রদায়ের যাবতীয় অধিকার থেকে বঞ্চিত হতে পারেন চিন্ময়ানন্দ। নামের আগে আর তিনি ‘স্বামী’ পদবিও ব্যবহার করতে পারবেন না।
আরও পড়ুন- মহিলাদের দিকে মধ্যমা প্রদর্শন করলে এবার বড়সড় শাস্তি, জানিয়ে দিল আদালত
চিন্ময়ানন্দনের আইন কলেজের এক ছাত্রী তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে আসে। ওই ছাত্রী পুলিসকে জানিয়েছেন, তাঁকে ব্ল্যাকমেল করে একাধিক বার ধর্ষণ করেছেন। বেশ কিছু ভিডিয়োও তুলে দেওয়া হয়েছে পুলিসকে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এই তদন্ত চলছে।
উল্লেখ্য, চিন্ময়ানন্দ অযোধ্যা আন্দোলনের অন্যতম মুখ। চিন্ময়ানন্দ এবং উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের গুরু মোহন্ত আদিত্যনাথ তৈরি করেন ‘রাম মন্দির মুক্তি যোগ সমিতি।’ ১৯৮৬ সালে রাম জন্মভূমি আন্দোলন সংঘর্ষ সমিতির আহ্বায়ক হয়েছিলেন চিন্ময়ানন্দ। পরবর্তীকালে বাজপেয়ী সরকারে কেন্দ্রীয়মন্ত্রীও হন তিনি।