২০১৯ সালে মোদীর প্রত্যাবর্তনের নীল নকশা তৈরি অমিত শাহের
নিজস্ব প্রতিনিধি: ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে বিজেপি। প্রতিটি কেন্দ্র ধরে ধরে রণকৌশল ঠিক করছেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত। সেই রণকৌশলেই 'বাম' পথ ধরলেন তিনি। দেশের প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে একজন করে পূর্ণ সময়ের কর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি। পশ্চিমবঙ্গে ফুলটাইমার ক্যাডার ভিত্তিক রাজনীতিতে একচ্ছত্র আধিপত্য সিপিএমের। সেই কৌশলেই এবার লোকসভা ভোটে বিরোধীদের মাত দিতে চাইছেন অমিত শাহ।
দেশের ৪,১২০টি বিধানসভা কেন্দ্রে একজন করে পূর্ণ সময়ের কর্মী নিয়োগ করা হবে। নিজের এলাকার কেন্দ্রের দায়িত্ব দেওয়া হবে না তাঁদের। ২০১৯ সালে বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষণা পর্যন্ত বাড়ির বাইরে থাকতে হবে, যাতে তাঁদের মনসংযোগে ছেদ না পড়ে। ইতিমধ্যেই ৩,২০০ জন ফুলটাইমার নিয়োগ করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ১০০ জন মুসলিম ও ক্রিশ্চান সম্প্রদায়ের। বেশিরভাগই জম্মু-কাশ্মীর ও উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির। তাঁদের মধ্যে প্রায় ২,২৫০ জন ফুলটাইমার ২০১৯ সাল পর্যন্ত দলের হয়ে কাজ করতে সম্মত হয়েছেন। বিজেপি সূত্রের খবর, শিগগিরই ৪,১২০টি কেন্দ্রে ফুলটাইমার নিয়োগ করা হবে। এখন দেড়হাজার জনের নিয়োগপ্রক্রিয়া চলছে।
পূর্ণ সময়ের কর্মী ছাড়াও প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে কো-অর্ডিনেটরররা থাকবেন। দলই প্রশিক্ষণ দিচ্ছে ফুলটাইমারদের। অমিত শাহ নিজে ফুলটাইমারদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এজন্য গত এপ্রিল থেকে তিনি রাজ্য সফর শুরু করে দিয়েছেন। গত একবছর ধরে তিন লক্ষ বুথভিত্তিক কর্মী নিয়োগ করেছে বিজেপি। বিজেপির অভ্যন্তরীণ রিপোর্ট বলছে, দেশের দশ লক্ষ বুথের মধ্যে ৬ লক্ষ বুথে পূর্ণ সময়ের কর্মী রয়েছে বিজেপির। দেশের ১০ লক্ষ বুথে অন্তত একজন সদস্য রাখার লক্ষ্য নিয়েছেন অমিত শাহ। ওই ক্যাডাররা ইতিমধ্যেই কাজে নেমে পড়েছেন। তাঁরা এলাকার যুবক ভোটারদের তথ্য সংগ্রহ করে দিচ্ছেন সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাকে। সেই সব তথ্য হাতিয়ার করে মোদীর প্রত্যাবর্তনের মেগা ছক তৈরি করবেন বিজেপির 'চাণক্য' অমিত শাহ।
লোকসভা নির্বাচনে জন্য জাতীয় সাধারণ সম্পাদক শিবপ্রকাশের নেতৃত্বের কমিটি গঠন করেছেন অমিত শাহ। আরএসএস থেকে সম্প্রতি বিজেপিতে এসেছেন শিবপ্রকাশ। তাঁকে সাহায্য করবেন অনিল জৈন, মুরলিধর রাও ও বিনয় সহস্রবুদ্ধি। ইতিমধ্যেই ৪৪টি প্রশিক্ষণ শিবির করেছে বিজেপি। অমিত শাহ যখন এসব করছেন, তখন বিরোধীদের ছন্নছাড়া। সেই সুযোগেই বিজেপিকে গন্তব্যে পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর মোদীর সেনাপতি অমিতভাই।
আরও পড়ুন, টুইটারে রাহুলের জনপ্রিয়তা আদতে কারসাজি, বিতর্ক রিপোর্টে