Anurag Thakur: পাঁচলায় মহিলাকে বিবস্ত্র করে ঘোরানো হয়েছে, কোথায় গেল মমতাজির মমতা!
Anurag Thakur: গতকাল শুভেন্দু অধিকারী একটি ট্যুইট করে দাবি করেন পাঁচলায় এক মহিা বিজেপি প্রার্থীকে বুথের মধ্যে মারধর করা হয়েছে। তার শাড়ি ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি দৌড়ে গিয়ে আশ্রয় নেন একটি বাড়িতে। শুধু তাই নয়, তাকে নিয়মিত হুমকি দেওয়া হচ্ছে
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মণিপুরে দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে ঘোরানোর ঘটনার পর রাস্তায় কাটা মুন্ডর ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। সেখানেই থেমে থাকেনি মণিপুরের বিভীষিকা। এবার দুই বোনকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনা সামনে এসে গেল। এনিয়ে চাপ বাড়াচ্ছে বিরোধীরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ও এনিয়ে সরব হয়েছে। তিনি মণিপুরে যাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশও করেছে। এর মধ্য়েই মমতাকে নিশানা করে তোপ দাগলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর।
আরও পড়ুন- মিথ্যে বলছেন মমতা পুলিসের ডিজি, দলের মহিলা প্রার্থীকে নিগ্রহের অভিযোগ নিয়ে তোপ শুভেন্দুর
গতকালই শুভেন্দু অধিকারী ট্যুইটে পাঁচালার এক বিজেপি প্রার্থীর ভিডিয়ো পোস্ট করে রাজ্যের ডিজি মনোজ মালব্যকে নিশানা করেছেন। সেই ঘটনা টেনে এনে এবার এনিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সরব হলেন অনুরাগ ঠাকুর। তিনি বলেন, বাংলায় পঞ্চায়েত ভোটে ব্যলটের থেকে বেশি দেখা গিয়েছে বোমা। হাওড়ায় মানবিকতা মাটিতে মিশে গিয়েছে। কিন্তু এখন সবার ঠোঁট সেলাই করা রয়েছে। হাওড়ার পাঁচলায় পঞ্চায়েত ভোটের দিন ৪০ জনেরও বেশি তৃণমূল গুন্ডা এক মহিলাকে বিবস্ত্র করে ঘুরিয়েছে। বিজেপি প্রার্থীকে মারধর করা হয়েছে। মালদহে একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। সেই ভিডিয়ো আমি দেখাব না দেখাতে পারবও না। সেখানে ২ মহিলাকে বেধড়ক মারধর করে অর্ধনগ্ন করা হয়েছে। ঘোরানো হয়েছে। ভিডিয়ো করা হয়েছে। কোথায় মমতাজির মমতা? সরকার, প্রশাসন কোথায়? ওই ঘটনায় কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? প্রশাসন সুরক্ষা দিচ্ছে অপরাধীদের। এখানেই থেমে থাকেননি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। অনুরাগ ঠাকুর বলেন, নারী নির্যাতনে পিছিয়ে নেই বাংলা। রাজস্থানেও নারী নির্যাতন বাড়েছে। উত্তর প্রদেশের সেখানে কোনও তুলনাতেই আসে না।
উল্লেখ্য, গতকাল শুভেন্দু অধিকারী একটি ট্যুইট করে দাবি করেন পাঁচলায় এক মহিা বিজেপি প্রার্থীকে বুথের মধ্যে মারধর করা হয়েছে। তার শাড়ি ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি দৌড়ে গিয়ে আশ্রয় নেন একটি বাড়িতে। শুধু তাই নয়, তাকে নিয়মিত হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ওই ঘটনা নিয়ে গতকালই রাজ্যে ডিজি মনোজ মালব্য বলেন, '১৩ তারিখে এক মহিলা ইমেইল মারফত আমাদের কাছে অভিযোগ করেন, ৮ তারিখ বুথের ভিতর তাঁকে মারধর করা হয়। তারপর তাঁর কাপড় ছিড়ে সম্মানহানিও করা হয়। কিন্তু তার আগে কোনও অভিযোগ আসেনি। এরপর এসপি রুরাল থানাকে নির্দেশ দেওয়া হয় এফআইআর করার জন্য। ১৪ তারিখ এফআইআর করে পুলিস। তারপর থেকে আমরা তদন্ত করে দেখেছি। কিন্তু এরকম কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। সব বুথে পুলিস ছিল। ভোটের দিন চারদিকে মানুষও ছিল। ওই এলাকার মানুষকেও জিজ্ঞাসা করা হয়, কিন্তু কেউ বলতে পারেনি এইরকম কোনও ঘটনা ঘটেছে বলে।'
এদিকে, অনুরাগ ঠাকুরের মন্তব্য নিয়ে সুর চড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের মুখপাত্র শান্তনু সেন বলেন, যাঁর নাম বলা হচ্ছে তিনি বলেছিলেন, দেশ কী গদ্দারোকে, গোলি মারো সালো কো। মাণিপুরের ঘটনা গোটা দুনিয়ার কাছে আমাদের মাথা হেঁট করে দিয়েছে। যে ভাবে দুপই মহিলাকে নগ্ন করে রাস্তায় প্যারেড করানো হয়েছে, মহিলা কুস্তিগিরদের শ্লীলতাহানি করা হয়েছে, মধ্যপ্রদেশে এক বিজেপি নেতার ছেলে মহিলাকে ধর্ষণ করেছে তাতে সেইসব ঘটনা থেকে মুখ ঘোরানোর জন্য এসব কথা বলছে বিজেপি। পাঁচলার ঘটনায় অভিযোগের ভিত্তিতে মামলাও শুরু হয়েছে। ডিজি জানিয়েছে ওই ধরনের ঘটনার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। মালদহে দুই মহিলার ঝগড়া থেকে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। প্রশাসন ছেড়ে কথা বলবে না। গোটা দেশ দেখেছে স্বাধীনতা দিবসের দিন বিলকিশ বানুর ধর্ষকদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে নরেন্দ্র মোদীর মদতে।