এবার সংখ্যালঘু সংরক্ষণ বিতর্কে বেণীপ্রসাদ বর্মা

উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা ভোটপর্বের মাঝে ফের মুসলিম সংরক্ষণ নিয়ে বিতর্কে জড়াল কংগ্রেস। সলমন খুরশিদের পর এবার সৌজন্য বেণীপ্রসাদ বর্মা! ফারুকাবাদ জেলার কায়ামগঞ্জ বিধানসবা কেন্দ্রে একটি নির্বাচনী সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেন্দ্রীয় ইস্পাতমন্ত্রী এদিন সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ২২ বছর পর লখনউ-এর মসনদ পুনরুদ্ধার করতে পারলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য সরকারি চাকরি ও শিক্ষায় সংরক্ষণ বাড়াবে কংগ্রেস।

Updated By: Feb 16, 2012, 07:26 PM IST

উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা ভোটপর্বের মাঝে ফের মুসলিম সংরক্ষণ নিয়ে বিতর্কে জড়াল কংগ্রেস। সলমন খুরশিদের পর এবার সৌজন্য বেণীপ্রসাদ বর্মা! ফারুকাবাদ জেলার কায়ামগঞ্জ বিধানসবা কেন্দ্রে একটি নির্বাচনী সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেন্দ্রীয় ইস্পাতমন্ত্রী এদিন সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ২২ বছর পর লখনউ-এর মসনদ পুনরুদ্ধার করতে পারলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য সরকারি চাকরি ও শিক্ষায় সংরক্ষণ বাড়াবে কংগ্রেস। শুধু তাই নয়, বেণীপ্রসাদ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন এই মুসলিম-সহ সংখ্যালঘুদের জন্য সংরক্ষণ বাড়ানোর সওয়াল করায় নির্বাচন কমিশন তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেও তাতে তাঁর কোনও যায় আসে না। সঙ্গত কারণেই বিধানসবা ভোটপর্বের মাঝে বরাবাঁকি-গোণ্ডার কুর্মী নেতার এই বক্তব্যে নতুন করে বিতর্কের ঝড় উঠেছে।
গত শনিবার উত্তরপ্রদেশে এই ফারুকাবাদ জেলাতেই নিজের স্ত্রী লুইস খুরশিদের নির্বাচনী প্রচারে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী সলমন খুরশিদ জানিয়েছিলেন, ভোটে জিতলে অন্যান্য পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায় (ওবিসি)-র ২৭ শতাংশ সংরক্ষণের মধ্যে ৯ শতাংশ পিছিয়ে পড়া সংখ্যালঘু গোষ্ঠীগুলির জন্য বরাদ্দ করা হবে। এর পর বিতর্ক তৈরি হলে খুরশিদ বলেন, নির্বাচন কমিশন তাঁকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দিলেও তিনি এই মন্তব্য থেকে একচুলও সরবেন না। ফারুকাবাদের কংগ্রেস সাংসদের এহেন মন্তব্যকে `অবাধ্য ও উদ্ধত` আখ্যা দিয়ে রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাতিলকে পাঠানো দু`পৃষ্ঠার চিঠিতে কমিশন জানায়, মুসলিম সংরক্ষণ নিয়ে ক্রমাগত মন্তব্যে নির্বাচন বিধিভঙ্গ করেছেন খুরশিদ। কমিশনের চিঠি পেয়েই খুরশিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে চিঠির প্রতিলিপি পাঠিয়ে দেন রাষ্ট্রপতি।

প্রাথমিক ভাবে কংগ্রেস নেতৃত্বের একাংশ খুরশিদের পাশেই ছিল। এই অংশের বক্তব্য ছিল, কমিশন-নির্দেশিত `আদর্শ আচরণবিধির` কোনও আইনি স্বীকৃতি নেই। কিন্তু উত্তরপ্রদেশের ভোটপর্ব চলাকালীন বিজেপির তরফে ক্রমাগত বিষয়টি তুলে ধরে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে `মুসলিম তোষণ`-এর অভিযোগ আনা হতে থাকে। অন্যদিকে ওবিসি কোটার মধ্যেই সংখ্যালঘু সংরক্ষণ বাড়ানোর বিষয়টিকে কেন্দ্র করে পিছড়ে বর্গের ভোটব্যাংকে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা দেখা দেয় ২৪ আকবর রোডের নীতি নির্ধারকদের মধ্যে। ফলে প্রাথমিক ভাবে নির্বাচন কমিশনের অধিকারের সীমারেখা নিয়ে প্রশ্ন তুলেও ভোটের মুখে বিতর্ক এড়াতে শেষ পর্যন্ত খুরশিদকে দিয়ে দুঃখপ্রকাশ করিয়ে বিষয়টিতে ইতি টানে কংগ্রেস। দলের নির্দেশে মঙ্গলবার কমিশনকে চিঠি লিখে খুরশিদ নিজের মন্তব্যের জন্য দুঃখপ্রকাশ করেন। কিন্তু পরিস্থিতি থিতিয়ে যাওয়ার আগেই সংখ্যালঘু সংরক্ষণ বাড়ানোর কথা বলে দলকে নতুন বিতর্কে ঠেলে দিলেন বেণীপ্রসাদ বর্মা।

.